নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, মানুষ যখন ন্যায় ও আলোর পথে যাচ্ছে, তখন একটি গোষ্ঠী সমাজ ও দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়ার অপরাজনীতিতে মেতে উঠেছে। এ অবস্থা শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই নয়, উন্নত দেশগুলোতেও বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, এ অপরাজনীতি প্রতিরোধে আমাদের আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আজ সকালে টিএসসি মিলনায়তনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, চতুর্থ পুনর্মিলনী ২০১৬’র দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে আজাদ।
সভাপতিত্ব করেন রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ। স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন আয়োজক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম।
উপাচার্য রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দেশ-বিদেশে পেশাগত ও সামাজিক, যে দায়িত্বই পালন করছেন, সেখানে আপনারা আপনাদের চারপাশ আলোকিত করে আছেন, এমনটিই আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আপনাদের সে দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বকে সমৃদ্ধ করছে। এ জন্য ঢাকা বিশববিদ্যালয় ও এর উপাচার্য হিসেবে আমি গর্বিত।
উপাচার্য বলেন, শুধু ধর্মের নামে, ভাষার কারণে দেশে-বিদেশে মানুষের ওপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের প্রতিহত করতে আপনাদের মত আলোকিত মানুষ চাই।
তিনি বলেন, আলোকিত ভূবন গড়তে যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক, আমরা তার মোকাবিলা করে সমাজ, দেশ ও বিশ্বকে আলোকিত করে যাব। এই হোক আজ আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। সদস্যরা সমবেত কণ্ঠে ‘আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভূবন ভরা…’ গানটিও পরিবেশন করেন। পরে রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্মারক ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
Be the first to comment on "অপরাজনীতি প্রতিরোধে আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে হবে : ঢাবি উপাচার্য"