নিজস্ব প্রতিবেদক : মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শরীফ ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছাড়াও আরো ৬ জন ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বলে দাবি করছে পুলিশ। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এ দাবি করেন।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়ার বাঁশপট্টি এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডিএমপির চিহ্নিত জঙ্গি শরীফ নিহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাতেন জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সময় শরীফ ঘটনাস্থলে ছিল। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে তার চেহারা স্পষ্ট দেখা গেছে। এছাড়া সে ব্লগার নিলাদ্রী নিলয়, সান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, ফয়সাল আরেফিন দীপন, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, সূত্রাপুরের নাজিমুদ্দিন সামাদ, কলাবাগানের জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। যারা তাদের হত্যা করেছে শরীফ তাদের রিক্রুট করে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল মেরাদিয়ায় শরীফ তার সহযোগীদের সঙ্গে থাকতে পারে। তাই ডিবি শনিবার রাত থেকে ডেমরা-মেরাদিয়া সড়কে অবস্থান নেয়। রাত ২টায় সড়কটি দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের থামার নির্দেশ দেয়। তবে মোটরসাইকেলটি না থেমে পুলিশের উপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়।’
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক অবস্থায় জঙ্গি শরীফকে না চিনলেও মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার চেহারার সঙ্গে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গি শরীফের সঙ্গে মিলে যায়। রোববার সকালে পুলিশ শরীফের চেহারা চিহ্নিত করে। শরীফ ছাড়াও সে হাদি-১ নামে পরিচিত।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় মূল আসামিরা এভাবে মারা গেলে তদন্তে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কিনা? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, ‘পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। তারা থাকলে তদন্তে সুবিধা হতো। তবে আমার মনে হয় না এতে কোনো সমস্যা হবে। কারণ অন্যান্য জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দির ভিত্তিতে তদন্ত চলে।’
‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে ছয় জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে ডিএমপি। একইসঙ্গে ওই ছয় জঙ্গি সম্পর্কে তথ্যদাতাকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ছয়জনের মধ্যে শরীফের নাম প্রথম ছিল।
অভিজিৎ ছাড়াও ৬ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শরীফ: ডিএমপি

Be the first to comment on "অভিজিৎ ছাড়াও ৬ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শরীফ: ডিএমপি"