নিউজ ডেস্ক : শরীরে জীবাণু, ভাইরাস, অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা অচেনা রাসায়নিক পদার্থের আগমন ঘটলে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘ইনফ্লেমেশন’, যা আপনাকে দেয় সুরক্ষা।
কিন্তু প্রায়ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এলোমেলো হয়ে যায়। তখন দেহের স্বাস্থ্যকর টিস্যু এবং কোষগুলোকেই আক্রমণ করা হয়। এ পর্যায়ে ইনফ্লেমেশন ক্ষতিকর হয়ে ওঠে এবং ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস বা বিষণ্নতার মতো ক্রনিক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ইনফ্লেমেশনের এই বেগতিক অবস্থা সামলানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি হলো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাদ্য বাছাই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সেসব খাবারের কথা, যেগুলো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে এবং সুরক্ষা দেয়।
হলুদ : জনপ্রিয় এক মসলা, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। হলুদে আছে কিউকার্মিন। এই উপাদানটি প্রদাহ কমায় প্রাকৃতিকভাবে। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিস এমনকি অ্যাজমার সমস্যায় বেশ উপকারী।
আখরোট ও আলমন্ড : অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উৎস আখরোট। এতে উপস্থিত কয়েক ধরনের এনজাইম, যা ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টিকারী নিউরোট্রান্সমিটারের উত্পাদান রোধ করে। এতে আরো আছে আলফা-লিনোলেনিক এসিড এবং ফেনোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো দেহের যেকোনো ক্ষতিকর উপাদানকে বিদায় জানায়। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের এক গবেষণায় বলা হয়, অন্যান্য সব বাদাম অপেক্ষা সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ই’ আছে আলমন্ডে।
গ্রিন টি : অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দারুণ এক উৎস হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে গ্রিন টি। এই চায়ের ক্যাটেচিন পলিফেনল একে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উেস পরিণত করেছে। দেহে অবস্থানরত ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে শনাক্ত করে এদের বিদায় জানায় গ্রিন টি। কোষের ক্ষতিরোধ করে।
–স্মার্ট কুকি অবলম্বনে
ইনফ্লেমেশনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে…

Be the first to comment on "ইনফ্লেমেশনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে…"