শিরোনাম

কাশ্মীরে সংঘর্ষস্থলে যাওয়া মানেই আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন জনসাধারণকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে সংঘর্ষস্থলে যাওয়া আত্মহত্যার সামিল। এর দায় নেবে না সরকার। সম্প্রতি কাশ্মীরে যেখানেই পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। এই কাজে বেশি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় স্থানীয় কিশোর, তরুণ ও যুবকদের।

কয়েকদিন আগে বাদগামে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পাথর ছুঁড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সেখানকার কিশোর ও যুবকসহ স্থানীয়রা। পুলিশ ও সেনাসদস্যের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় ২ কিশোর ও ১ যুবকের। ১ জঙ্গিকেও হত্যা করে সেনাবাহিনী। কিন্তু স্থানীয় যুবক ও কিশোরদের মৃত্যুর জেরে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর।

প্রতিবাদে পরের দিন বনধ (হরতাল) পালিত হয়। তার পরেই এই স্থানীয়দের প্রতিরোধ নিয়ে কড়া মনোভাব নিতে শুরু করে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি এসরি বৈদ জানিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে কোথাও পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাঁধলে সেখানে যাবেন না। সেখানে যাওয়া মানেই মৃত্যুকে ডেকে আনা। তা আত্মহত্যার সামিল। এর দায় কেউ নেবে না।

পুলিশ প্রধানের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও কাশ্মীরের অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যাতে তাঁদের সন্তানদের এই কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। সংঘর্ষস্থলে যাতে তারা না যায় সেদিকে নজর রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংঘর্ষস্থলে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাজে ব্যাঘাত ঘটনোরও কড়া নিন্দা করেছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "কাশ্মীরে সংঘর্ষস্থলে যাওয়া মানেই আত্মহত্যা"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*