নিউজ ডেস্ক : কুয়েতে এক বাংলাদেশি ও রাজ পরিবারের এক সদস্যসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে কেইউএনএ বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
কোনো প্রতিবেদনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বাংলাদেশির নাম-পরিচয় আসেনি। আল-জাজিরা বলছে, অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে বুধবার তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কুয়েতি কর্তৃপক্ষ।
প্রিন্স ফয়সাল আবদুল্লাহ আল-জাবের আল-সাবাহ নামের রাজপরিবারের ওই সদস্যকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
বার্তা সংস্থাটি বলছে, উপসাগরীয় দেশটিতে এই প্রথম রাজপরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাতিজাকে হত্যার দায়ে ২০১০ সালে ওই প্রিন্সকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয় বলে কুয়েতি সংবাদমাধ্যমের তথ্য।
কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে এই সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাদের মধ্যে এক কুয়েতি নারী রয়েছেন, যিনি স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁবুতে আগুন দিয়ে ৪০ জনের বেশি নারী-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া অপর দুই নারী ও দুই পুরুষ মিশর, ইথিওপিয়া ও ফিলিপিন্সের নাগরিক। হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে তাদের এই শাস্তি হয়।
ফিলিপিনো ও ইথিওপীয় নারী দেশটিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। নিয়োগকারী পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য তারা দণ্ডিত হয়েছিলেন। আর দুই মিশরীয়র মৃ্ত্যুদণ্ড হয় পরিকল্পিত হত্যার দায়ে।
Be the first to comment on "কুয়েতে এক বাংলাদেশিসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর"