নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলে স্যার জন উইলসন স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টার্ম চার্জ, সেশন ও বর্ধিত টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় থেকে বিরত থাকার যে আদেশ হাই কোর্ট দিয়েছে, তা স্থগিত করেনি চেম্বার আদালত।
হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের জন্য স্কুলের অধ্যক্ষের করা আবেদন শুনে চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বৃহস্পতিবার তাতে ‘নো অর্ডার’ দিয়ে বিষয়টি ১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, “চেম্বার বিচারপতির এই আদেশের ফলে হাই কোর্টের আদেশই বহাল রয়েছে।”
এর ফলে ২০১৬-১৭ শিক্ষবর্ষের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ টার্ম চার্জ, সেশন চার্জ ও বর্ধিত টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করতে পারবে না। কেবল গত বছর ধার্য হারে টিউশন ফি নিতে পারবে বলে অনীক আর হক জানান।
বর্ধিত ফি ধার্য্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩৩ জন অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৩০ মে হাই কোর্ট রুলসহ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেয়।
রুলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি (ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০০৭ এর আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সেই সঙ্গে রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টার্ম চার্জ, সেশন ও বর্ধিত টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা থেকে বিরত থাকতে বলে আদালত।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে অধ্যক্ষ আবেদন (লিভ টু আপিল) করলে, বৃহস্পতিবার তা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে অধ্যক্ষের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রব চৌধুরী। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
রিট আবেদনকারী পক্ষের যুক্তি, গত ২১ বছর ধরে পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। পরিচালনা পর্ষদ ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। অথচ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিক ‘স্বেচ্ছাচারিভাবে’ ভর্তি ফি, বুক ফি ও সেশন ফি নির্ধারণ ও আদায় করেছেন, যা বেসরকারি (ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০০৭ এর ৭, ৯, ১৭ ও ২০ ধারার পরিপন্থি।
হাই কোর্টের আদেশের দিন ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেছিলেন, “আমরা দেখিয়েছি, ২০১২ সালে একজন শিক্ষার্থীকে স্কুলে ভর্তি হতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ টাকা দিতে হত। চার বছরের ব্যবধানে চলতি শিক্ষাবর্ষে তা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৮ টাকা। ট্রাস্টি বোর্ড এটি নির্ধারণ করতে করতে পারে না। এ সব যুক্তিতে রিট আবেদনটি করা হয়।”
Be the first to comment on "জন উইলসন স্কুল: বর্ধিত ফি না নেওয়ার আদেশ বহাল"