শিরোনাম

জসীমউদ্দীনের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক : “তুমি যাবে ভাই,যাবে মোর সাথে,আমাদের ছোট গাঁয়। গাছের ছায়ায় লতায়-পাতায় উদাসী বনের বায়”।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এ কবি তার শহরের বন্ধুকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন কুমার নদের পাশের তার নিজ গ্রাম গোবিন্দপুরে যেতে। আজ ১ জানুয়ারি রবিবার পল্লী কবির ১১৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আজ সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দুপর কবির বাড়ির আঙিনায় কবির সমাধি প্রিয় ডালিম গাছের নিচে কবির সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ,জসীম ফাউন্ডেশন,ফরিদপুর প্রেস ক্লাব,ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থা,ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ,আনসারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,সাহিত্য পত্রিকা উঠোনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া। সভায় অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা,পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম,আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশল,মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,মাটি ও মানুষের কবি জসীমউদদীন এর তার লেখায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠির হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনা ও আশা-আকাঙ্খা তুলে ধরে বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য স্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এদিকে পল্লী কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে গোবিন্দপুর গ্রামের কুমার নদের পাড়ে জসীম উদ্যানে মাসব্যাপী জসীম পল্লী মেলার শুরুর কতঅ রয়েছে।

উল্লেখ্য,১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি জসীমউদ্দীন ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৬ সালে ৭৩ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মারা যান। পরে গোবিন্দপুরের নিজ পৈত্রিক বাড়ির আঙিনায় প্রিয় ডালিম গাছের নিচে তাকে সমাহিত করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "জসীমউদ্দীনের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*