নিউজ ডেস্ক : ‘তামিমের মৃত্যুতে আমাদের পরিবার কলঙ্ক মুক্ত হলো! এলাকার লোকদের কাছে আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারিনি এতোদিন। পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়া ফোনে প্রায় আমাদের পরিবারের সদস্যদের ঘুম হারাম ছিল।’
গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদে এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন তার চাচাতো ভাই ফাহিম আহমদ চৌধুরী।
এছাড়া জঙ্গি তামিমের মৃত্যুর সংবাদে এলাকার লোকজনের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে। তামিমের মৃত্যুতে পরিবারের মতো এলাকার লোকজনও মনে করেন তারা কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন।
ফাহিম জানান- তার বাবা নজরুল ইসলাম (তামিমের চাচা) গত রবিবার মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুতে তাদের পরিবার শোকাহত। আর তামিম কখন কবে দেশে এসেছে এটা তাদের জানা নেই। তিনি (ফাহিম) কোনদিন তামিমকে দেখেননি। তাদের পরিবারের কারো সাথে ফাহিমের পরিবারের যোগযোগ ছিল না। ফাহিমের লাশ আনতেও পরিবারের কেউ যাবে না।’
বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন জানান, তামিমের মৃত্যুর সংবাদ তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকার মানুষের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তার লাশ আনতে গ্রাম থেকে কেউ যাবে না। শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’-এ তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়।
দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে তামিম আহমদ চৌধুরী নিখোঁজ হন বলেন এলাকাবাসীর মুখে শুনেছি। এরপর পরিবারের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই বলেই জানেন এলাকার লোকজন। তবে তার মৃত্যুতে তার পরিবারসহ এলাকার লোকজন খুশি।’
র্যাবের প্রকাশ করা হালনাগাদ নিখোঁজ তালিকায় ৩৭ নম্বরে থাকা তামিম আহমদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৫ জুলাই। তামিম আহমদ চৌধুরী সিলেটের বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের শফি আহমদ চৌধুরী ও খালেদা শফি চৌধুরীর ছেলে। তামিম আহমদ বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তারা ৩ ভাই ও ১ বোন।
Be the first to comment on "তামিমের মৃত্যুতে কলঙ্কমুক্ত পরিবার, এলাকায় খুশির বন্যা"