নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষরা ছুটছেন পরিবহন ধরতে। সোমবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে আগের দিনের চেয়ে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বাসের টিকেট পাওয়া গেলেও দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীদের কেউ কেউ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরিবহন মালিকরা বলেছেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছেন তারা। কমলাপুরে নতুন করে কোনো টিকেট দেওয়া হচ্ছে না, যারা যেতে নাছোড়বান্দা তাদের ‘স্ট্যান্ডিং টিকেট’ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় সব ট্রেনেই সময়মতো ছেড়ে গেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সকাল ৯টায় রংপুরের পথে ছেড়ে যাওয়া রংপুর এক্সপ্রেসের ভেতরে দাঁড়ানোর কোনো জায়গা না থাকায় যাত্রীদের ছাদে উঠতে দেখা যায়। নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের নামিয়ে দিলেও ঠিকই ট্রেন ছাড়ার সময় আবার উঠেন তারা।
কমলাপুর স্টেশনে নিরাপত্তার বেশ কড়াকড়ি দেখা যায়। রেলওয়ের নিয়মিত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আর্মড পুলিশরাও দায়িত্ব পালন করছেন। টিকেট ছাড়া প্লাটফর্মে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, যাত্রীদের দেহ তল্লাশিও করা হচ্ছে।
নিরাপত্তার প্রশংসা করলেন ময়মনসিংহের অগ্নিবিনা ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইশরাত জাহান।
বিভাগীয় রেলের ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান বলেন, “গতকালের চেয়ে আজ ভিড় একটু বেশি। “সকাল ১০টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ১৪টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। দুটি ট্রেন কিছুটা বিলম্ব ছেড়েছে। বাকিগুলি ঠিক সময়ে ছেড়েছে।” গুলশানে ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার কারণে স্টেশনে সতর্কতা একটু বেশি বলে জানান তিনি।
রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে থেকে কোনো পরিবহনেরই অগ্রিম টিকেট না দেওয়ায় বাস ধরতে আসা যাত্রীদের টিকেটের জন্য কাউন্টারগুলোতে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়।
এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং দক্ষিণাঞ্চলের কিছু গন্তব্যের বাস ছাড়ে। টিকেটের দাম দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। একাধিক যাত্রী জানান, নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে কখনো। খুলনাগামী এক যাত্রী জানান ৩৫০-৪০০ টাকা ভাড়া আজ ৬০০ টাকায় কেটেছি। মাদারীপুরের পথে সোনালী পরিবহনের যাত্রী লুৎফুর রহমান ভাড়া বেশির অভিযোগ করলেও তা মেনে নিয়েছেন।
“আগে ২৫০ টাকা ভাড়া নিলেও আজ ৩০০ টাকা নিয়েছে। ঈদের সময় একটু বেশিই নেয়,” বলেন এক যাত্রী। তবে সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর বাসের ভাড়া আগের মতোই নেওয়া হচ্ছে জানালেন একাধিক যাত্রী।
সায়দাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, সেহরির পর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। এর পর তেমন চাপ নাই।”
Be the first to comment on "নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা, ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়"