নিউজ ডেস্ক॥ মরে গেলেও আমরা নির্বাচন বর্জন করব না। প্রয়োজনে আমার লাশ নিয়ে ভোট দিতে যাবে। সোমবার (১৭ডিসেম্বর) বিকেলে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে দেশের বিভিন্নস্থানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাতে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্ট।
তিন ঘন্টারও বেশি সময় চলা বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন দেশজুড়ে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সব ধরণের হামলা-মামলা বন্ধ করতে হবে। ইসির সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে কিন্তু তার কোনো প্রয়োগ দেখছি না। দু’দিনের মধ্যে অ্যাকশন দেখতে চাই। আজ থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
এর আগে দুপুর দেড়টার পরপর নির্বাচন কমিশনে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। ইশতেহার ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ কমিশনে পৌঁছান।
প্রচারণা শুরুর পর থেকে দেশজুড়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর একের পর এক হামলা ও পুলিশি গ্রেপ্তার-হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই প্রতিনিধিদলের নির্বাচন কমিশনে আসা। বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের আশায় যখন বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছে ঠিক তখন পুলিশ, সাদা পোশাকধারী লোকজন ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডাররা বিভিন্নস্থানে প্রার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছে, গুরুতর জখম করছে। পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে, বিনা কারণে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।
চিঠির সঙ্গে দেশজুড়ে হয়রানি, হামলা ও গ্রেপ্তারের একটি তালিকাও সিইসির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বৈঠকে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ. স. ম. রব, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মোহসিন মন্টু প্রমুখ।
Be the first to comment on "‘প্রয়োজনে আমার লাশ নিয়ে ভোট দিতে যাবে’ ড. কামাল"