নিউজ ডেস্ক : সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোটটি দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। নিয়ম লংঘন করে প্রকাশ্যেই ভোট দেন তিনি। ভোটকেন্দ্রে তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতেও দেখা গেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের সামনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজে জনপ্রতিনিধি হিসেবে অপর জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে পারায় আমি আনন্দিত। প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেত্রী আমাদের মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার ভোট আমি প্রকাশ্যে দিতেই পারি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রে ফোন নিয়ে গেলেও আমার ফোন আমি বন্ধ রেখেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, আমরা ভোটরাদের সতর্ক করে দিয়েছি তারা যেন তাদের ভোট প্রকাশ্যে না দেন এবং কেউ যেন কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ না করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নির্বাচনের বিষয়ে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচনে আমরা ব্যতিক্রমী কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, যার মাধ্যমে ব্যালট পেপার স্ক্যান করা যায়, এমন কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, ‘এমন একটা আশঙ্কা আছে যে, ভোটদানের গোপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে। কেউ হয়তো প্রমাণের জন্য ব্যালট পেপারের চিহ্ন মোবাইলে ছবি ধারণ করতে পারেন। এ জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে খুব একটা আমেজ লক্ষ্য করা না গেলেও এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। নির্বিঘ্নভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে ইতোমধ্যেই সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জেলার বিভিন্নস্তরের ১৩৫৩ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
Be the first to comment on "বাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ম লংঘন করে প্রকাশ্যে ভোট প্রদান"