নিউজ ডেস্ক : এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রয়েছে গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের পতনে বড় ধরনের নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে ঢাবির সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য। ওই সময় ছাত্র সংগঠন ‘জাতীয় ছাত্রসমাজ’ গড়ে তুলে ঢাবির ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টাও করেছিল এরশাদ। তখন ঢাবির অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসনের মতৈক্যে জাতীয় ছাত্র সমাজকে ঢাবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ছাত্র রাজনীতির তীর্থস্থান হিসাবে খ্যাত ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে সেই ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত ছাত্র সমাজ স্বৈরাচার এরশাদের ৮৭তম জন্মদিন পালন করেছে। এ উপলক্ষে জন্মদিনের কেক কেটেছে তারা। সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে ঢাবি শাখা জাতীয় ছাত্র সমাজের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী এরশাদের জন্মদিনের এ কেক কাটে।
এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে টাঙানো ব্যানারে উল্লেখ ছিল, ‘শুভ শুভ শুভ দিন, পল্লীবন্ধু এরশাদের জন্মদিন।’ এছাড়া বেলুন লাগিয়ে ব্যানারের চারদিকে সাজানো হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব নকিবুল হাসান নিলয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুর রহমান রোহান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাওগাতুল ইসলাম হিমেল, মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, আকাশ রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এরশাদের জন্মদিনের কেক কাটার পর ফেসবুকে তার ছবিও প্রকাশ করে ছাত্র সমাজ।
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্র সমাজের উদ্যোগে স্বৈরাচার এরশাদের জন্মদিনের কেক কাটার এমন খবরে সমালোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তুহিন কান্তি দাস দ্য রিপোর্টকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনো স্বৈরাচারকে ধারণ করে না।
এ বিষয়ে মধুর ক্যান্টিনের পরিচালক অরুণ দে বলেন, অমি তখন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বিকেল ৩টার দিকে এরশাদের জন্মদিনের কেক কাটা হয়। ওই সময় বৃষ্টি থাকার কারণে অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা না থাকার সুযোগে ছাত্র সমাজ জন্মদিন পালন করেছে।
Be the first to comment on "মধুর ক্যান্টিনে কেক কাটল ‘নিষিদ্ধ’ ছাত্রসমাজ!"