নিউজ ডেস্ক : এই মুস্তাফিজকে নিয়েই বেশি চিন্তায় ছিল কিউইরা। ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত এই বোলার দীর্ঘ ৬ মাস পর কোনো আন্তর্জাতিক দলের বিরুদ্ধে বল করতে নামলেন।
যথারীতি শুরুতেই তুলে নিলেন উইকেট। কিন্তু এরপর ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশ। এর আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ একাদশ।
২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার বুঝতে না পেরে উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রায়ান ডাফি। এই ধাক্কা বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু বেন স্মিথ ও ভরত পপলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং কিউই একাদশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে। এরপর বেন স্মিথকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে এই জুটি ভাঙেন কিউইদের অপর ‘দুঃশ্চিন্তা’ সাকিব আল হাসান।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ২ উইকেটে ৯৪ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ আধঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। এরপর আবারও বৃষ্টিদেবির আগমন ঘটলে ৪৩ ওভারের ম্যাচে পরিণত হয়।
দলীয় ৭ রানেই বিদায় নেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর ৫৫ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্য সরকার। ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা এই তরুণ ওপেনারের ব্যাটে অনেকদিন পর দেখা যায় রানের ঝলক। ৪৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। ইমরুল কায়েস ৩৬ রান করে হ্যাম্পটনের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
দলীয় ৯৬ রানের মাথায় সৌম্য ফিরে গেলে সাকিব-মাহমুদ উল্লাহ ৫৯ রানের জুটি গড়েন। সাকিবের ইনিংসটি বেশি বড় হয়নি। তিনি ২৩ রান করে আউট হয়ে যান। কিন্ত নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদ উল্লাহ ৪৬ বলে ২ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। টাইগারদের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ৪১ বলে ২ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করেন। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাব্বিরও। তিনি ১১ রান করে আউট হন। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফির ১৯ বলে অপরাজিত ২১ রানে লড়াই করার মত স্কোর পায় টাইগাররা।
Be the first to comment on "মুস্তাফিজকে সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা"