নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর দক্ষিণখান থানার পূর্ব আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলার সময়ে বাসার দরজা খুলে বেরিয়ে আসার সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান জঙ্গি সুমনের স্ত্রী।
এসময় তার সঙ্গে ছিল নিহত জঙ্গি ইকবালের মেয়ে শিশু সাবিনা (৭)।
জঙ্গি সুমনের স্ত্রীর নিথর দেহ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলেও শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সেই নারীর আত্মঘাতী হওয়ার বিবরণ মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, প্রথম দফায় ওই বাড়ির নিচতলার বাসা থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করেন। তারা হলেন- মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি ও সাবেক মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা, তার মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তার মেয়ে।
ছানোয়ার বলেন, আরও তিনজন ওই বাসায় ছিল। তাদের বের হওয়ার জন্য পুলিশ এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় দিয়েছিল। বারবার তাদের হ্যান্ডমাইকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাতে সাড়া দেয়নি।
পুলিশের কাউন্টার টেরোজিম ইউনিটের এ কর্মকর্তা বলেন, তিনি ওই বাড়ির গাড়ি পার্কিংয়ের পিলারের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখতে পান বোরকা পরা একজন নারী বাঁ হাতে একটি মেয়েশিশুকে ধরে বাসার দরজা খুলে বাইরে এসেছেন। ওই দুজন পার্কিংয়ের দিকে আসছিলেন। তখন তিনি তাদের দাঁড়াতে বলেন। বারবার বলেন, হাত তুলতে। কিন্তু ওই নারী দাঁড়াননি। তিনি শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে সামনে দিকে হাঁটতে শুরু করেন। একপর্যায়ে বাঁ হাতে শিশুটিকে ধরে রেখে ডান হাত ওপরের দিকে তোলার মতো ভঙ্গি করেন। তবে, তখন তিনি কোমরে রাখা বিস্ফোরকে চাপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ওই নারী ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। শিশুটিকে নড়াচড়া করতে দেখে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পরে পুলিশ ওই নারীর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
Be the first to comment on "যেভাবে আত্মঘাতী হলেন সেই নারী"