নিউজ ডেস্ক : ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত আম শুধু সুস্বাদু ফলই নয়, এটি নানা গুণে গুণাণ্বিত একটি ফল। এ কারণে আমকে সুপারফুড বলা হয়। তাই আমের ঋতুতে সবারই অন্তত কিছু পরিমাণে আম খাওয়া উচিত। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সম্প্রতি এক গবেষণাতেও আমের বিভিন্ন গুণের কথা জানা গেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আমের রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী ক্ষমতা। এছাড়া আম দেহের ওজন বাড়তে দেয় না এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
উচ্চমাত্রায় ফ্যাট খেলে দেহের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এ বিরূপ প্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়তা করে আম। সম্প্রতি চারটি নতুন গবেষণায় আমের এ গুণাগুণ জানা গেছে। গবেষকরা উচ্চমাত্রায় ফ্যাটযুক্ত খাবারের সঙ্গে আমের এ গুণের কথা জানতে পেরেছেন।
পেটের ফ্যাট সেলগুলো নানাভাবে দেহের ক্ষতি করে। এগুলো স্তন ক্যান্সার ও টিউমারের বৃদ্ধির জন্যও দায়ী। কিন্তু আম খেলে এ ফ্যাট সেলগুলোর সংখ্যা কমে যায় এবং তাদের ক্ষতি করার ক্ষমতা কমে আসে। এছাড়া এতে মানুষের দেহের সংক্রমণ ও কোষ্টবদ্ধতা সমস্যা কমে যায়।
এ বিষয়ে একজন গবেষক লিওনার্দো ওরটেগা বলেন, ‘বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আম দেহের স্থূলতা সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাছে। এছাড়া এটি কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং পেটের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণায় বিস্তারিত জানা যাবে।’
আমের গুণাগুণ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ডিয়াগোতে অনুষ্ঠিত এ বছরের এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি কনফারেন্সে।
Be the first to comment on "যে কারণে আম একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী ‘সুপারফুড’"