শিরোনাম

যে গাছে হাত দিলেই মৃত্যু!

নিউজ ডেস্ক: একটি গাছ, একটি প্রাণ! ওড়িশার খুরদা জেলার মংলোজোড়ি গ্রামের বাসিন্দারা কিন্তু বলবেন উল্টো কথাই! বলবেন, শুধুমাত্র একটি গাছের জন্য কীভাবে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে গ্রামে!
শোনা যায়, মংলোজোড়ি গ্রামের একটি গাছ না কি অভিশপ্ত। সেই গাছে বাস করে এক রক্তলোলুপ প্রেতাত্মা। সেই জন্য পারতপক্ষে গ্রামবাসীরা ওই গাছের ধারে-কাছে ঘেঁষেন না! এমনকী, দিনের বেলাতেও নয়।
তাতেও অবশ্য নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না মংলোজোড়ি। গ্রামবাসীরা গাছের কাছে না গেলেই যে বিপণ্মুক্ত, এমনটা যে দেখা যাচ্ছে না! তাঁদের সবার বক্তব্য, ওই প্রেতাত্মা না কি গাছ থেকে নেমে ঘুরে বেড়ায় গ্রামে। কখনও অদৃশ্য হয়ে, কখনও বা বিড়ালের রূপ ধরে। তাই কিছুতেই তার সঙ্গে এঁটে ওঠা যাচ্ছে না।
শহুরে মানুষের কাছে পুরো ব্যাপারটাই গাঁজাখুরি বলে মনে হতে পারে। যাঁরা একটু উদারমনস্ক, তাঁরা বলবেন এ সবই অন্ধ কুসংস্কার!

তার পরেও একটা ঘটনা কিন্তু অস্বীকার করা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত শুধু মাত্র গাছে হাত দেওয়ার জন্য মংলোজোড়ি তার ৭ জন বাসিন্দাকে হারিয়েছে। এই সাতজনের প্রত্যেকেই গাছটি কেটে ফেলতে গিয়েছিলেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, যখনই কেউ গাছটি কেটে ফেলার চেষ্টা করেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিন সাতেকের মধ্যেই অসুখে ভুগে মৃত্যু হয় তাঁর। কোনও চিকিৎসাতেই প্রতিকার হয় না।
শেষ এই প্রেতাত্মার প্রকোপে প্রাণ গিয়েছে ভবানী বেহরা নামে এক ১৯ বছরের ছেলের। তার দিদি অনসূয়া জানিয়েছেন গ্রামের মর্মান্তিক পরিস্থিতির কথা।
‘আমার ভাই গ্রামের মঙ্গলের জন্য গাছটা কেটে ফেলতে গিয়েছিল! সে আর বাঁচেনি! শেষ দিকে ভাই খালি বলত, গাছ থেকে নেমে একটা সাদা বিড়াল এগিয়ে আসছে আমার দিকে। আমরা যদিও বিড়ালটাকে দেখতে পেতাম না’, বলতে বলতে গলা ধরে আসে অনসূয়ার!
‘তার পর থেকেই গ্রামে এক থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা কেউ স্কুল-কলেজে যেতে চাইছে না। সন্ধে ৬টার পরেই গ্রামের সব বাড়ির দরজায় খিল পড়ে যাচ্ছে’, আরও জানিয়েছেন অনসূয়া। আর, গ্রামপ্রধান লক্ষ্মীধর বেহরা জানিয়েছেন আরও এক গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। গাছের ওই প্রেতাত্মা ভবানীর মৃত্যুর আগে গ্রাস করেছিল গ্রামেরই এক বালিকাকে। মৃত্যুর আগে সে জানিয়েছিল, সব মিলিয়ে ২১টি প্রাণ নেবে ওই প্রেতাত্মা, দাবি গ্রামপ্রধানের! বলাই বাহুল্য, সেই মৃত্যুমিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে! আতঙ্কে দিন গুনছে মংলোজোড়ি- এর পরে কার পালা!সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "যে গাছে হাত দিলেই মৃত্যু!"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*