নিউজ ডেস্ক ॥ গত ৪ আগষ্ট নড়াইলের লোহাগড়ায় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ ঘটনায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট সকাল ১১ টার দিকে পৌর শহরের সিএন্ডবি চৌরাস্তায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, লাঠি, ছোরা, শর্টগান, বন্দুক, পিস্তল, হাতবোমাসহ মারাত্মক অস্ত্রাদী নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বেশ কয়েকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে। ককটেল বিস্ফোরণে ছাত্র-জনতা আতংকিত হয়ে দিকবিদিক ছুটে বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানঘরে আশ্রয় নেয়।
এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমকে প্রধান আসামী করে ১০২ জন নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছেন উপজেলার মশাঘুনী গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী শহিদুল মল্লিক। মামলায় হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত অপরাধীদের বাদ রেখে নিরাপরাধ ব্যাক্তিদের নাম থাকায় বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। একজন আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অদৃশ্য ও স্বজনপ্রীতির কারনে লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম, শালনগর মডার্ণ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাতইল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষক রণজিৎ টিকাদার, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ হাসান ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদ ফকিরসহ অনেক নেতা-কর্মীর নাম এজাহারে নাই। অপরদিকে ওই সময়ে চিকিৎসাজনিত কারনে ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমান, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মতিয়ার রহমান ভারতে এবং কচুবাড়িয়া গ্রামের বিবেকানন্দ (বিবেক) দাস বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ্যতার কারণে বাড়িতে অবস্থান করলেও তাদেরসহ অনেক নেতা-কর্মীর নাম পূর্ব শত্রুতার কারনে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার দায়ীত্বপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ মামলার তদন্তে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় ৪ আগষ্ট ছাত্র জনতার ওপর হামলা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১০২ নেতা-কর্মীর নামে মামলা"