নিউজ ডেস্ক॥ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় একজন স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা গত শুক্রবার (৭ জুন) রাতে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলার দৌলতপুর উপজেলার কার্তিককুল গ্রামের হালিম শেখ’র মেয়ে ও কার্তিককুল সালেহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী (১৫)’র সাথে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. তোতা মিয়া বিশ্বাসের বখাটে ছেলে রাজিব বিশ্বাস (২৭)’র মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ ১ বছর ধরে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জের ধরে ঈদের দিন গত বুধবার (৫ জুন) ধর্ষক রাজিব বিশ্বাস ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ায় বেড়াতে আসতে বলে এবং ওই ছাত্রী বেড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে লোহাগড়ায় চলে আসে।
বেড়াতে আসার পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা শেষে ধর্ষক রাজিবসহ তার অজ্ঞাত এক সহযোগি বন্ধু মিলে দিঘলিয়া গ্রামের পাচু বিশ্বাসের ছেলে নূরু বিশ্বাসের বাড়িতে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঈদের পরের দিন সকালে ধর্ষকদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ধর্ষণের ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি জানার পর ধর্ষিতার মা ফাতেমা বেগম শুক্রবার (৭ জুন) বাদী হয়ে ধর্ষক রাজিবসহ তার অজ্ঞাত এক সহযোগির নামে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৯।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার নড়াইল সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকালে নড়াইলের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষিতা জবানবন্দী প্রদান করেছেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকাররম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় গণধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী"