নিউজ ডেস্ক : ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যের বিরুদ্ধে করা মামলায় টাকার মাধ্যমে আপসের কথা অস্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদী মোজাম্মেল হক।
বুধবার ঢাকার পাঁচ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
জবানবন্দিতে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর রোডের মাথায় হ্যাপিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক ব্যক্তি। তিনি আমাকে হ্যাপির বিষয়ে জানালে তাৎক্ষণিক আমি সেখানে যাই। আমি তাকে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, সে ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। সেখানে শাহাদাত ও তার স্ত্রী তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। ঘটনার দিন প্রাণে বাঁচতে সে বাসা থেকে পালিয়ে আসে। এরপর হ্যাপি আমাকে তারা যেভাবে নির্যাতন করে তার বর্ণনা দেয়। ওই রাতেই আমি মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি।’
জবানবন্দিতে বাদী বলেন, গৃহকর্মী হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলায় আমি আসামিদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করিনি। শাহাদাতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমি তাদের সঙ্গে আপস করেছি এবং তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার নিয়েছি, এটা সত্য নয়।’
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু তাকে জেরা করেন।
এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাধবী কর্মকার ও একই হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট ডা. নুসরাত ফাতেমার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মূলতবি রেখেছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলাটিতে এর আগে গত ২৪ আগস্ট মামলার ভিকটিম মাহফুজা আক্তার হ্যাপি ও তার মামা সোহাগ সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে তারা শাহাদাত দম্পত্তির নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট হ্যাপির যার কাছে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিল সেই ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রাণী চক্রবর্তী সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে শাহাদাত ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(২) (খ) ধারায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান ঢাকা সিএমএম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
শাহাদাতের সাথে আপসের কথা অস্বীকার বাদীর

Be the first to comment on "শাহাদাতের সাথে আপসের কথা অস্বীকার বাদীর"