নিউজ ডেস্ক: সবাই এখন পরীক্ষার্থী কেউ আর শিক্ষার্থী নন। শিক্ষা অর্জনের চেয়ে সবাই পরীক্ষায় পাস করাতেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘ড্রিংকইট তোমার গল্পে সবার ঈদ’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
নূর বলেন, শিক্ষার সর্বত্রই একই দশা। আজ যারা গল্প, উপন্যাস লিখছেন তাদেরও বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। টেলিভিশনগুলোয় অনেক নাটক প্রচার হচ্ছে কিন্তু সেই অর্থে দর্শক ধরে রাখতে পারছে না।
ঈদের নাটকের জন্য ‘তোমার গল্পে সবার ঈদ’ শীর্ষক গল্প লেখার আয়োজন করে আরএফএল-এর পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ ‘ড্রিংকইট’ এবং বৈশাখী টেলিভিশন। ‘লেখো গল্প, হও নাট্যকার’ শিরোনামে পঞ্চমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এবারের বিজয়ী সেরা পাঁচ প্রতিযোগী হলেন, আসিফ ইমতিয়াজ, সাকিব চৌধুরী, ইলিয়াস নাহিদ, হুমায়ুন রশিদ ও তামিম রহমান। নির্বাচিত সেরা পাঁচটি গল্প নাট্যরূপ দিয়েছেন দেশের সেরা পাঁচ নাট্যনির্মাতা। ঈদের পঞ্চম দিন পর্যন্ত রাত ১০.৩৫ মিনিটে নাটকগুলো প্রচারিত হবে। সেরা পাঁচ প্রতিযোগীর হাতে ক্রেস্ট এবং ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।
পুরস্কার বিতরণের পর তিনি বলেন, এখনকার গল্পগুলো অনেক দুর্বল। কাঠামো ভঙ্গুর থাকায় দর্শক ধরে রাখতে পারে না। যারা লিখছেন, তারা যেন দায়সারা গোছের লেখা লিখছেন। আবার নাটক বা গল্প কিনছেন, তারাও যেন দায়সারা গোছের ভূমিকা রাখছেন। এখানে উভয়েরই দায়িত্ব আছে।
মন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আরএফএল-এর সহায়তায় গল্প লেখার যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে তাতে, গল্প এবং তা থেকে নাটক নির্মাণে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এমন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তরুণ লেখকরা আরো এগিয়ে আসছে। অনেকেই তা পেশা হিসেবে নিচ্ছে এবং আরএফএল সেই পেশাকেই যথার্থ মূল্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে।
এসময় আরএফএল-এর পরিচালক আর এন পাল বলেন, প্রাণ-আরএফএল-এর ভাবনা দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে। মানুষের প্রতিটি ভালো কাজের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে চাই। প্রাণ-আরএফএল-প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য তা পূরণে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় সৃজনশীল কাজের অংশ হিসেবে গল্প লেখার এই আয়োজন। আগামীতেও প্রাণ-আরএফএল এ ধরণের সৃষ্টিশীল কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, লেখক শাকুর মাজিদ, আরএফএল প্লাস্টিকস-এর প্রধান বিপনন কর্মকর্তা আরাফাতুর রহমান, বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু আলম, অনুষ্ঠান প্রধান আহসান কবির, প্রতিযোগিতার বিচারক কায়েস চৌধুরী, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার জন্য সারা দেশ থেকে ১১ হাজার ৪২৩টি গল্প জমা পড়ে। এর মধ্য ৫টি গল্পকে সেরা নির্বাচিত করা হয়।
Be the first to comment on "শিক্ষার্থী নেই সবাই এখন পরীক্ষার্থী"