নিউজ ডেস্ক : সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। মামলার আসমামী সাবেক ইউপি সদস্য কোট হতে জাবিন পাওযায় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে এবং দোষী সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির হোসেনের শাস্তির দাবিতে শনিবার সকালে জৈনসার এলাকার গ্রামবাসী ও জৈসনার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। সকাল ৮ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত এক ঘন্টা শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেণ। এসময় বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযাদ্ধা জমিরউদ্দিন সরদার, জৈনসার ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড সদ্য নির্বাচিত সদস্য মোঃ আব্দুল করিম সরদার, আব্দুল মালেক দুলু, বাদল জমাদ্দার, মনির শেখ, জাহাঙ্গির জমাদার, মনির জমাদার, মধ্যপাড়া ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর শেখ, দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবির আদম আলী প্রমুখ ।
উল্লেখ্য গত ৩০ আগষ্ট ২০১৫ইং জৈনসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর এক ছাত্রী স্কুল শেষে কামাল স্যারের কাছ থেকে প্রাইভেট পড়ে খেলা শেষে বিকাল ৪টায় মেম্বারের বাড়ির উপর দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় ছাত্রীটি গরীব বিধায় তাকে বিভিন্ন প্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে ইউপি মেম্বারের বাড়ি কাছে নিয়ে যায় সহপাঠি ইভার আম্মু ( শিউলী আক্তার )। এ সময় স্কুল ছাত্রীটির সাথে তানজিনা নামে তার এক ক্লাসমেট ছিল। তানজিনাকে বিদায় করে দিয়ে ছাত্রীটি শিউলী আক্তারের কথা মত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির তালুকদারের বাড়ি গেলে নির্জন ঘড়ের একটি কক্ষে ছাত্রীটির জামাকাপড় খুলে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে ইউপি সদস্য হাত দেন। এসময় ভয়ে ছাত্রিটি কান্নাকাটি শুরু করলে পরে তাকে ভয় দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলেন এবং তাকে টাকা পয়সা দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানান। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার মাকে মেম্বার তার সাথে কি করেছে বিষয়টি জানান। পরে এ ব্যাপরে থানায় একটি মামলা হয়।
অভিযুক্তকারী সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি দীর্ঘ ১২ বছর ওই স্কুলের সভাপতি ছিলাম। যে মেয়েকে নিয়ে আমাকে জড়িয়ে বার বার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে, আমি ওই মেয়েকে কোন দিন দেখিনি। আমি যদি এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকি আমার বিচার যেন আল্লাহ পাক করেন। তবে জাহাঙ্গীর জমাদ্দার তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করলে আমি রাজি হয়নি বলে তারা শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকদের ভুল বুঝিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
সিরাজদিখান থানার (ওসি) ইয়ার দৌস হাসান জানান, আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছি। সে হাজত খেটে জামিনে বের হয়েছে। বর্তমানে বাহিরের ইন্ধনে এলাকায় তার একটি প্রতিপক্ষ উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্ঠি করছে। জৈনসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকল ইসলাম দুদু জানান, সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর একটি গ্রুপের ষড়যন্ত্রের শিকার।
সিরাজদিখানে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Be the first to comment on "সিরাজদিখানে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ"