নিউজ ডেস্ক: নতুন অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন; বলেছেন, রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য সরকার ঠিক করেছে, সেজন্য অনেক খাটতে হবে, বাড়াতে হবে এডিপি বাস্তবায়নের দক্ষতা।
“নতুন বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেশ বেড়েছে। বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে। আর আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ।
“এ হিসাবে আমাদের মাথাপিছু আয় ৬ শতাংশ হারে বাড়বে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতিবাচক পথে থাকারই ইঙ্গিত দেয় বলে আমি মনে করি।”
চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট এবার দিয়েছেন, তাকে উচ্চাভিলাষী বলতে রাজি নন সাবেক এই গভর্নর।
“আমার বিবেচনায় এই বাজেট মোটেই উচ্চাভিলাষী নয়। প্রস্তাবিত বাজেট জিডিপির ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। অথচ এটা হওয়ার কথা তিন ভাগের এক ভাগ।”
বাজেটে এবার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে তাকেও ‘রক্ষণশীল’ বলেছেন ফরাসউদ্দিন।
“চলতি অর্থবছরেই ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। অভ্যন্তরীণ, আন্তর্জাতিক সবকিছুই অনুকুলে। আসছে অর্থবছরের জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা আরও বেশি ধরা যেত…।”
সার্বিক বিবেচনা থেকে এবারের বাজেটকে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়ার বাজেট’ অভিহিত করেছেন তার সাবেক একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিন।
“আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, এই বাজেট ওই পথে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।”
তবে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা পূরণ করতে ‘অনেক চেষ্টা করতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ষোল কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১২ লাখ লোক কর দেয়। এই সংখ্যা না বাড়তে পারলে রাজস্বও বাড়বে না।
“কর কর্মকর্তাদের অনেক বেশি মেহনত করতে হবে। আন্তরিক হতে হবে।”
সেই সঙ্গে এডিপি বাস্তবায়ন বাড়াতে ‘অবশ্যই জোর দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে। বাস্তবভিত্তিক প্র্রকল্প নিতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন প্রকল্প নিলে হবে না। মানুষের উপকার হয়, দেশের উন্নয়ন হয়-এমন প্রকল্পই নিতে হবে।”
Be the first to comment on "স্বপ্ন পূরণের বাজেট: ফরাসউদ্দিন"