নিউজ ডেস্ক : যাবজ্জীবন সাজার রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর রিভিউ পিটিশনের ওপর শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো শেষ হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারি রিভিউ পিটিশনের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রিভিউ পিটিশনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। টিটুর পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানি করেন। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ শুনানি গ্রহণ করে। ২০১২ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগ চট্টগ্রামে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ করেন ওই আসামি। রিভিউ পিটিশনে যাবজ্জীবন সাজার রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ হত্যা মামলায় টিটুকে খালাস দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। টিটু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ছেলে। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিপিং কম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন জিবরান তায়েবী। জিবরানের বাবা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিচালক ছিলেন। চাকরির সুবাদে জিবরান স্ত্রী তিতলী নন্দিনীকে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। ১৯৯৯ সালের ৯ জুন নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে জিবরানকে হত্যা করা হয়। পরদিন জিবরানের সহকর্মী জেমস রায় ডাবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলায় পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ইয়াছিন আলী টিটু, ওমর আলী ও আলমগীরকে খালাস দেন। নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ খালাস পাওয়া ইয়াসিন আলী টিটু, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টিটু। আদালত জামিন না দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
Be the first to comment on "হত্যা মামলায় টিটুর পরবর্তী রিভিউ শুনানি ৩ জানুয়ারি"