নিউজ ডেস্ক : মিউনিখ, ভ্যুর্ৎসবুর্গ, রয়েটলিঙেনসহ আন্সবাখে হামলার ঘটনার পর চাপের মুখেও শরণার্থী নীতি পাল্টানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।
সরকারের নীতির পক্ষে সাফাই গেয়ে মের্কেল বলেছেন, নিপীড়ন এবং যুদ্ধ থেকে পলায়নপর মানুষদের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।
জার্মানিতে কয়েকটি হামলা চালিয়েছে আশ্রয়প্রার্থীরা। এ সম্পর্কে মের্কেল বলেছেন, “তারা এ তৎপরতা চালিয়ে তাদের স্বগতিক দেশকেই লজ্জ্বিত করেছে।”
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা জার্মানির শরণার্থী নেওয়ার প্রস্তুতিকে স্তিমিত করে দিতে চায়। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে। সরকার সন্ত্রাসীদের ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সন্ত্রাসী হামলা রোধে মের্কেল বরং তথ্য সংগ্রহে নতুন ব্যবস্থা নেওয়াসহ ইন্টারনেটে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের মতো আরও বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
সম্প্রতি জার্মানির বাভারিয়ায় দুটো হামলার ঘটনাই ঘটিয়েছে আশ্রয়প্রার্থীরা। রোববার আন্সবাখে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় এক সিরীয়।
১৮ জুলাই ভ্যুর্ৎসবুর্গ এ ট্রেনে কুড়াল ও ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ব্যক্তিও ছিল এক আফগান আশ্রয়প্রার্থী।
দুই হামলাকারীই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আনুগত্য স্বীকার করেছে।
গত ২২ জুলাই মিউনিখে হামলাকারী ইরানি বংশোদ্ভূত এক জার্মান চালিয়েছে। যদিও সে হামলার সঙ্গে জিহাদি যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মের্কেল বলেছেন, যারা আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার নীতিতে জার্মানি অটল থাকবে।
Be the first to comment on "হামলার পরও শরণার্থী নীতি পাল্টাবে না জার্মানি"