নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ‘ভুল করে’ ৮৫৮ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে অপরাধী এবং সে দেশ থেকে বিতাড়িত লোকজনও।
গতকাল সোমবার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে এমন ৮৫৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা ভুয়া পরিচয় দেখিয়ে মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়েছেন। নাম, জন্মতারিখ বদল করে পদ্ধতিগত ফাঁকফোকরের মাধ্যমে নাগরিক হয়েছেন।
এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য এ তদন্তকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, অপরাধ ও সন্দেহজনক আচরণের কারণে বেশ কিছু অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা হয়। তারা নানাভাবে আবার সে দেশে ঢুকেছে।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ইন্সপেক্টর জেনারেল অফিস বলছে, নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়া এসব অভিবাসীর আঙুলের ছাপ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে আঙুলের ছাপ প্রযুক্তিগতভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এর আগে আঙুলের ছাপ নথিভুক্ত করে রাখা হতো। নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী অনেক সন্দেহজনক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ নথিভুক্ত ছিল। সেগুলোর রেকর্ড যথাযথ যাচাই না করেই অনেককে নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার অভিবাসীর আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের অনেকেই সন্দেহজনক দেশ থেকে এসেছেন। আবার অনেক অভিবাসীর বিরুদ্ধে বিতাড়নের আদেশ রয়েছে। এই অভিবাসীদের মধ্যে অপরাধী এবং পলাতক ফেরারি লোকজনও রয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, প্রায় দেড় লাখ লোকের আঙুলের ছাপ প্রযুক্তিগতভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে নাগরিকত্ব নেওয়ার সময় তারা সহজেই ফাঁকি দিতে পেরেছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য যাচাইয়ের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিস।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তদন্তে যারা ভুয়া তথ্য দিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এর মধ্যেই ভুয়া তথ্য প্রদানকারী তিনজনের নাগরিকত্বের সনদ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল জন রট বলেছেন, অভিবাসনের আবেদনপত্রে জালিয়াতি বন্ধের জন্য মার্কিন অভিবাসন বিভাগ প্রযুক্তিগতভাবে সংরক্ষিত আঙুলের ছাপ যাচাই করতে চায়।

Be the first to comment on "ভুল করে মার্কিন নাগরিকত্ব পেল ৮৫৮ অভিবাসী"