নিউজ ডেস্ক ॥ অনুসন্ধানে জানা যায়, লোহাগড়া পৌরসভার পাঁচ কর্মকর্তা, পৌর প্রশাসক মিঠুন মৈত্র, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তফিকুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী প্রনব মল্লিক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার রায়, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি লোহাগড়া পৌরসভার সাধারন মানুষ।
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অর্থ আত্মসাতের ভয়াবহ চিত্র। বিগত ২০২৪ সালের ৮ আগষ্ট অর্ন্তবর্তী কালিন সরকার দায়ীত্ব গ্রহনের পর হইতে গত ৭ আগষ্ট ২০২৫ এক বছর পৌরসভাটিতে কোন প্রকার জবাবদিহিতা না থাকায় সর্বত্র ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন এই পাঁচ কর্মকর্তা। এছাড়া পৌরসভাটি এই কর্মকর্তাদের মর্জি মতেই চলে। সকলেই বিগত সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে নিয়োগ পাওয়ায় অনেকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ারও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
এই কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে ভূয়া প্রকল্প, বিল ভাউচার, মাস্টাররোল বানিয়ে প্রকল্প তৈরি, মাস্টাররোলে কর্মচারী দেখানোসহ ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন বানিজ্য দৈনিক রাজস্ব আদায় থেকে টাকা আত্মসাতসহ অধিনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরি হারানোর হুমকি দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানে জিম্মি রাখারও অভিযোগ পাওয়া যায়। পৌরসভায় প্রধানত এই পাঁচজনের মধ্যে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে পৌর প্রশাসক মিঠুন মৈত্র, সহকারী প্রকৌশলী প্রনব মল্লিক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার রায় ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি সরকার, এরা সকলেই একই ধর্মের পাশাপাশি পৌর প্রশাসক মিঠুন মৈত্র ও উপসহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার রায়’র বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা হওয়ায় সকল প্রকার উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারী, বে-সরকারী ও স্থানীয় আয়-ব্যয় বা, কোন প্রকার প্রকল্পের তথ্য ওই চার’জনের বাহিরে অন্য কারও পক্ষে জানার সুযোগ থাকে না। একই ধর্ম ও জেলার বাসিন্দা হওয়ায় এই চার’জন মিলে গিলে খাচ্ছে লোহাগড়া পৌরসভার সকল প্রকার উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ। অনুসন্ধানে জানা যায়, লোহাগড়া পৌরসভাটি ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে তৃতীয় শ্রেণীর মর্যাদা নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন স্বল্প-সংখ্যক জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে স্থায়ী জনবল ১৬ জন, অস্থায়ী ১০ জন এবং পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছে ১৩ জন। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করলেও পৌরসভাটির ভাগ্যের বিন্দুমাত্রও পরিবর্তন ঘটেনি। ভাড়াকৃত ভবনেই নগর সেবার কার্যক্রম চলে আসছে। পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাফিয়ে লাফিয়ে শ্রেণী পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি পৌরসভার শ্রেণী। ২২ বছর একই পদে থাকার প্রধান কারন হিসেবে জানা যায়, ডিজিটাল পদ্ধতি ‘মানিলেস’ সিস্টেমে সেবা প্রদানের নিয়ম থাকা স্বত্বেও নগদ টাকার লেনদেন করায় প্রায় ৯০ শতাংশ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে পৌরসভার কর আদায় অন্ধকারে চলে যাওয়ায় পৌরসভার শ্রেণী পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। সরকারি বরাদ্ধ ছাড়াও পৌরসভাটি স্থানীয়ভাবে ৫১ প্রকার সেবার বিপরিতে কর আদায় করে থাকেন। এর মধ্যে অনলাইনে ৪২ প্রকার সেবার বিপরিতে ১২ মাসে কর আদায় করেছেন ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৪’শ টাকা। এবং অফ লাইনে কর আদায় করেছেন ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। সর্বমোট কর আদায় ৩ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৪’শ টাকা। বিগত এক বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বিদ্যুত বিল দেওয়া এবং কর্মকর্তাদের ভুরিভোজ ছাড়া চোখে পড়েনা দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজ। তবে মাঝে মাঝে মশক নিধন যন্ত্রটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। মশক নিধন যন্ত্রটিতে কিটনাশক বিহীন শুধু ধোয়া বের হতো বলে জানান, ৬নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দিন ভূইয়া।
সরেজমিনে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে গিয়ে দেখা যায়, খানা-খন্দে ভরা, পিচের রাস্তায় পাথরের অস্তিত্ব না থাকায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হয়তো কাগজ-কলমে অনেক সড়ক মেরামত করা হলেও বাস্তবতা বলে দেয় ভিন্ন চিত্র। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত পৌরসভার থলের বিড়ালই শুধু নয় পুকুর চুরির তথ্যও বেরিয়ে আসবে বলে দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের। সহকারী কর আদায়কারী উজ্জল কান্তি সরকার, বিগত ২০০৪ সালের ১৮ অক্টোবর পৌরসভায় যোগদান করেন। পৌরসভায় নিয়োগকৃত হিসাব রক্ষক মো: মোখলেছুর রহমান বিগত ২০০৯ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভায় বদলীজনিত পদ শুন্য হলে তৎকালিন পৌর প্রশাসককে ম্যানেজ করে পৌর হিসাব রক্ষক পদ বাগিয়ে নেন সহকারী কর আদায়কারী উজ্জল কান্তি সরকার। হিসাব রক্ষক হতে হলে বাণিজ্য বিভাগে স্মাতক পাশ বাধ্যতামূলক হলেও মানবিক বিভাগ নিয়ে বি,এ পাশ করা উজ্জল কান্তি সরকার নামের বিশেষত: শ্রী এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী’লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে প্রভাব খাটিয়ে ২০০৯ সালের ১লা জুন হয়ে যান পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা। সেই থেকে তিনি অবৈধভাবে দায়ীত্ব পালন করে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। অর্থ আত্মসাতের কারনে কোন প্রকল্পের তথ্য জানতে চাইলে পৌর প্রশাসকের অনুমতি নাই মর্মে সাফ জানান এই কর্মকর্তা। পৌর প্রশাসকের কাছে মুঠোফোনে অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অনুমতি দিয়েছেন বলে জানালেও মূলত নিষেধ করা রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
শুধু তা-ই নয়, সাবেক মেয়রদের ভুয়া বিল-ভাউচার পাস, বেনামি মাস্টাররোলে কর্মচারি নিয়োগ, পেছনের তারিখ দিয়ে সাবেক মেয়রের চেক ও অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট। তাদের লাগামহীন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, দৈনিক বিভিন্ন প্রকার সনদ, যেমন: নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, উত্তোরাধিকারী সনদ, ইমারত নকসা অনুমোদনসহ ৫১ প্রকার কর আদায়ের টাকা পৌরসভার ব্যাংক হিসাবে জমা না করে ৫ কর্মকর্তা মিলে আত্মসাৎ করে আসছেন।
বিগত ১২ মাসে নাগরিক সনদসহ অন লাইনে ৪০ প্রকার সেবায় ৫ হাজার ৬৯৯ জনকে সনদ প্রদান করেছেন। যার প্রতিটি সনদ থেকে পৌরকর ১’শ টাকা হিসাবে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯’শ টাকা। ৭১৫ জনকে দিয়েছেন উত্তরাধীকার সনদ, যার প্রতিটি ৩০০’শ টাকা হিসাবে ২ লাখ ১৪ হাজার ৫’শ টাকা। ১১০৩ টি ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্সপ্রতি সবর্চ্চ ১৪ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং সর্বনিম্ম ১২৭৫ টাকা। ট্রেড লাইসেন্স প্রতি গড় ৪ হাজার টাকা হিসাবে ৪৪ লাখ ১২ হাজার টাকা। লোহাগড়া হাট-বাজার ইজারা থেকে প্রাপ্ত ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ফুড লাইসেন্স থেকে ২৩ হাজার টাকা। পৌর এলাকায় বরাদ্ধকৃত ৮ হাজার ৫’শ হোল্ডিং থেকে কর আদায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৫২টি ঠিকাদারী লাইসেন্স নবায়ন ফি প্রতিটি ২ হাজার ৫’শ টাকা হিসাবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পৌরসভার অনুকুলে থাকা রোলার ও ট্রাক ভাড়া বছরে প্রায় ৫লাখ টাকা। ইমারত (বিল্ডিং) নকসা অনুমোদন মাসে গড় ১০ টি হারে ১২ মাসে ১২০টি, যার প্রতিটি নকসা হতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পৌর কর নিয়ে থাকেন। সে হিসাবে ২০ লাখ টাকা। লক্ষীপাশা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল রেজিস্ট্রি ১২ মাসে পৌর কর পরিশোধ করেছেন ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। ধার্য্যকৃত পৌর শহরে স্থাপিত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা পরিষদ, লোহাগড়া থানা কমপ্লেক্স, পোষ্ট অফিস, লোহাগড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, সকল প্রকার ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত মোট ৪৭ লাখ টাকাসহ বিবিধ আয় রয়েছে। পৌরসভার অনুকুলে ৫১ প্রকার কর’র জমাকৃত কোটি কোটি টাকার সঠিক কোন হিসাব রাখেন নাই এই হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা। তবে হিসাব রক্ষক হিসাব না রাখলেও পৌরসভার ডাটা সেন্টার (সার্ভার) হিসাব রেখেছেন ৪২ প্রকার সেবার অনুকুলে আদায়কৃত পৌরকর। অফ লাইনে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংক হিসাবে রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার তালিকাভূক্ত একজন ঠিকাদার বলেন, লাখ লাখ টাকার ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে আনুগত ঠিকাদারের ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করার মাধ্যমে আত্মসাত করেন। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সকল অপকর্ম বেরিয়ে আসবে। পৌর প্রশাসক মিঠুন মৈত্র’ ৩৮তম বিসিএস হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করে বিভিন্ন জেলায় কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়ীত্ব পালন করলেও লোহাগড়ায় তিনি প্রথম সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পৌর প্রশাসকের দায়ীত্ব পেয়েছেন। ৫ থেকে ৬ বছরের চাকুরী সময় সীমার মধ্যে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন পাকা ভবন নির্মাণ ও নামে বে-নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্যসূত্র নিশ্চিত করেছেন।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও নড়াইল জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু হায়াত সাবু বলেন,‘পৌরসভার অবস্থা খুবই খারাপ, প্রতিষ্ঠানটির রন্দ্রে রন্দ্রে অনিয়ম- দুর্নীতি। অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের এই এক বছর ছাড়া পূর্বেও কোন প্রকার কাজ হয় নাই। সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। লোহাগড়া বাজারের বেহাল দশা। পৌরবাসি ভেবেছিল এই সরকার হয়তো সড়কের উন্নয়ন কাজগুলো অন্তত করবেন! কিন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী’লীগ সরকারের রেখে যাওয়া এবং গোপালী প্রশাসন দিয়ে ভাল কিছু আশা করা বোকামি। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এহেন কাজ নাই যা তারা করছেন না। কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়েছে পৌরবাসি।
নড়াইল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী মো: তাইবুল হাসান বলেন, স্থাপনা ও ইমারত নির্মাণ আইন লংঘন ও নিয়ম নীতি ছাড়া লোহাগড়া পৌরসভা বিগত এক বছরে প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ টি ইমারত নকসার অনুমোদন দিয়েছেন। যার প্রতিটি নকসা হইতে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। পৌরসভার এ দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী এই নেতার।
নড়াইল জেলা খেলাফত মজলিস’র সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মো: রুহুল্লাহ বলেন, তিনি লোহাগড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের দক্ষিন পাশে ক্রয়কৃত জমির ওপর ৪র্থ তলা দালানঘরের নকসার অনুমোদন নিতে বিগত সরকারের সময়ে লোহাগড়া পৌরসভায় যান। পৌর কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে মাটি পরিক্ষা ছাড়াই একটি কাগজ ও নকসার অনুমোদন দিয়েছেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ আবুল হাসনাত লোহাগড়া বাজারের মুরগী ও মাছের দোকান এলাকায় মরা,পঁচা,অপরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, পৌরশহর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নে দেখ-ভাল না থাকায় দুর্গন্ধে নগরবাসি দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে। দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নবজাতক শিশুরা।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি সরকার মানবিক বিভাগে বি,এ পাশের কথা স্বীকার, এবং অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তৎকালিন প্রশাসক হিসাব রক্ষক পদে পদন্নতি দিয়ে বেতন স্কেল উচ্চতর করেছেন।
লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক মিঠুন মৈত্র তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তিনি পৌরসভায় অতিরিক্ত দায়ীত্ব পালন করছেন। সব কিছুই পৌরসভায় নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকেন। কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "লোহাগড়া পৌরসভার সবঅর্থ গিলে খাচ্ছে ৫কর্মকর্তা"