নিউজ ডেস্ক॥ বিসিআইসি ডিলার সিন্ডিকেট ভাংতে খুচরা সার বিক্রেতাদের ডিলারশীপ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার। এর প্রতিবাদে লোহাগড়ায় খুচরা সার বিক্রেতা ও প্রান্তিক কৃষকরা মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক ও ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারের ডিলারশীপ বন্ধে সরকারি সিন্ধান্তে মূলত প্রান্তিক কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্থ হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের ডিলারশিপ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়ে কৃষিকাজ চরমভাবে ব্যহত করবে। কৃষকরা নির্ধারিত দামের চেয়ে তখন বিসিআইসি ডিলারের কাছ থেকে চড়ামূল্যে সার কিনতে বাধ্য হবেন। নতুন নীতিমালার উদ্দেশ্য হল সার সিন্ডিকেট ভাংগা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, কিন্তু এই পরিবর্তনের সময় পরিবহন সংকট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে সরবরাহ ব্যহত হতে পারে, যার ফলে প্রান্তিক কৃষকরাই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারবেননা। কৃষকরা আরও জানান, অনেকের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে তাদের দোরগোড়ায় খুচরা সার বিক্রেতার কাছ থেকে বছরজুড়ে বাকিতে সার ক্রয় করে ফসল ঘরে তুলে তা বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করার সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন। অপরদিকে বিসিআইসি ডিলারের অবস্থান দুরে এবং অপরিচিত হওয়ায় পরিবহন ব্যয় ও সময় বৃদ্ধিসহ নানাবিধ সমষ্যায় কৃষিব্যয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে যেমন তেমনি ব্যবসা হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বেন হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বক্তারা সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখার জোর দাবী জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাব ডিলার হীরক মোল্যা, আব্দুল আলিম, মাসুদ রানা, জাকির হোসেন, ইউনুস ও পলাশ প্রমূখ।
উল্লেখ্য: উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে বিসিআইসি ডিলার এবং তার অধিনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে সাব ডিলার সার বিক্রি করে থাকেন। প্রস্তাবিত নীতিমালায় সাব ডিলার স্থগিত করে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ জনের স্থলে তিনজন করে বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্ন্তবর্তিকালিন সরকার।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু রিয়াদ, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
Be the first to comment on "সারের ডিলারশীপ বন্ধে সরকারি সিন্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষক ॥ প্রতিবাদে লোহাগড়ায় মানববন্ধন"