নিউজ ডেস্ক: সুদুর স্পেনে বসে বাংলাদেশ সুনাম আর মুখ উজ্জল করে চলছেন তরুন, মেধাবী,বিচক্ষন এবং ষ্পষ্টবাদী সাংবাদিক এম ডি সুলতান আহমেদ । এক তরুন কি পরিমানের সৎ আর সততার দৃষ্টান্ত হতে পারে তা সুলতান আহমেদের কর্মময় জীবনের দিকে তাকালেই ফুটে উঠে। পরিশ্রমী এ সাংবাদিক জীবনে কখনো কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করে নি । বরং সাদা কে সাদা আর কালোকে কালো বলেই দুর্বার গতিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্পেনে বসে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে নিজের কর্মময় জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রবাসে যাদের ঘামের টাকায় পাঠানো রেমিটেন্স দিয়ে এদেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে তাদের মধ্যে একজন হলেন সাংবাদিক সুলতান। স্পেনে বসেও দেশের কথা ভাবেন।দেশের খারাপ সংবাদ তার মনে নাড়া দেয়,কস্ট পায়। মনে একরাশ কষ্ট আর হতাশ নিয়ে এদেশে শুভাকাঙ্খিদের কাছে ফোন দিয়ে জানাতে চায় এভাবে কি দেশ চলে? তবে ভালো সংবাদে তিনি আনন্দিত হন। জানতে চান কবে এদেশের মানূষ শান্তিতে থাকতে পারবে ? কবে আসবে মানুষ মুক্তি।
একজন স্বেচ্চাসেবী সংগঠকই নন স্পেনে একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে। এছাড়া স্পেনের বিশিষ্টজনদের কাছে তার রয়েছে অগাধ সম্মান। এ তো সে দিন স্পেনের পন্তেভেদ্রা সিটির চার চারবার নির্বাচিত মেয়র গরমঁবষ অহীড় ঋবৎহপ্সহফবু খড়ৎবং তাকে কাছে পেয়ে জড়িতে ধরেন। ছবি তুলেন। ভালো মানুষ হওয়ার কারনে সুলতানের সাথে একজন সিটি মেয়রের আন্তরিকতা বাংলাদেশের সুনাম আরো উজ্জল হয়েছে। কারন সুলতান বাংলাদেশী এটা জানার পর ঐ সিটি মেয়রের মুখেও উচ্চারন হয়েছে বাংলাদেশের নাম।
সুলতান বাংলাদেশের ব্রাক্ষনবাড়িয়ার সন্তান। তবে নারায়নগঞ্জের কুতুবপুর মাহমুদপুর এলাকায় তার রয়েছে নিজস্ব আবাসস্থল। দীর্ঘ দিন আগেই তিনি পাড়ি জমান স্পেনে। ইউরোপীয় দেশগুলো নিয়ে তার অভিজ্ঞতা অনেকে। এছাড়া সাংবাদিক সুলতান বাংলাদেশে থাকা কালে একাদিক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি একজন দানবীর ও। অসহায় দুস্থদের কল্যানে তিনি দুই হাত উজাড় করে দান করেন। অমায়িক, সদালাপী এযুবকের সামজিক কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এমনকি সাংবাদিক সুলতানের বাকী দুইভাই প্রবাস জীবনে খুবই সম্মানের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে একজন পুলিশ বিভাগের গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন। সাংবাদিক সুলতান ২০০৪সাল থেকে স্পেনের পন্তেভেদ্রায় মেরিষ্টাটএর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা করছেন । বাংলাদেশের কয়েকটি মিডিয়ায় তার খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পায়। এছাড়া তিনি বেসরকারী টেলিভিশনের স্পেন করপডেন্ট হিসেবে অনটেষ্টে রয়েছেন। চুড়ান্ত নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিক সুলতান বৈশাখীতে সংবাদ প্রচারের মাধম্যে স্পেনের বাংলাদেশীদের সুখ দু:খের বিষয়টা তুলে ধরবেন। টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, প্রবাসে থাকলেও প্রাণটা আমাদের বাংলাদেশেই পড়ে থাকে । দেশের জন্য সব সময় ভাবি। দেশের কল্যাণ হলে আমাদের ভালো লাগে। আর দেশের খারাপ খবরে আমাদের মনটাও খারাপ হয়ে যায়। দেশের মানুষ ভালো থাকুক এটাই কামনা করি সব সময়। তিনি জানান, অনেকটা শখেরবসে সাংবাদিকতায় আসা। কারন মানুষের সেবা করার একটা মাধ্যম মনে করি সাংবাদিকতা। মহান এ পেশায় নিজেকে নিবেদিত রেখে মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে চাই। কারন আমারা যারা প্রবাসে থাকি তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিছুই চাই না। বরং প্রবাসীরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টাপোর্জিত টাকা পাঠিয়ে এদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। অথচ এদেশে মানুষ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত থাকে। গুম খুনের শিকার হয়ে অনেক পরিবার আজ অসহায়। মানুষ নুন্যতম ন্যয় বিচার থেকে বঞ্চিত। মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে অহরহ। বিদেশীরাও এদেশের মানবাধিকার লংঘন নিয়ে সমালোচনা করে। আমি চাই এসবের অবসান হউক।মানুষ শান্তিতে থাকুক।
Be the first to comment on "স্পেনে বাংলাদেশের সুনাম আর মুখ উজ্জল করে চলছেন তরুন সাংবাদিক এমডি সুলতান"