নিউজ ডেস্ক : ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক স্কুলছাত্রকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকসুদুল আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়কে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে ওই স্কুলছাত্রকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, আদালত তাদেরকে ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বালককে আদালত জামিনও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আদালতকে বলেছি, যেখানে ওই ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের পর্যায়ে থাকা কোনো বিষয়ে এভাবে মোবাইল কোর্টে দণ্ড দেওয়া যায় না। আর আসামি যদি শিশু হয়, তাকে শিশু আইনে বিচার করতে হতো, সেটাও দেখতে হবে। এরপর আদালত তলবের আদেশ দেয়।
পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টাঙ্গাইলের সখিপুরে প্রতিমা পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইউএনও রফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। সাব্বির প্রতিমা বঙ্কি গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর আলমের ছেলে।
এর আগের দিন টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় ওই বালকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। দণ্ডের পর সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই বালককে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছেলেটি ফেসবুকে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে হুমকি দিয়েছেন বলে ওই ম্যাজিস্ট্রেট জানান।

Be the first to comment on "সখিপুরের ইউএনও-ওসিকে হাইকোর্টে তলব"