নিউজ ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী দাবিদার শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে শাওনের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, শাওনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিবেন মাহি। বিনিময়ে মাহির বিরুদ্ধে কোন মামলা বা তার ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করতে পারবে না শাওন।
স্বামী দাবিদার শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে শাওনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন চিক্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। মূলত দুই পরিবারের উদ্যোগেই এই সমঝোতা। এ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। শিগগিরই মামলাটি প্রত্যাহার করে নিব। কারণ শাওন একা এসব করেনি। সব তৃতীয় কোনো পক্ষের কাজ। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনো তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ। তাছাড়া আমি চাই না ও আর জেলে থাকুক। খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে সব জানানো হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শাওন আমার স্কুলবন্ধু। তবে আমাদের মধ্যে বিয়ে হয়নি। যা ছড়িয়েছে তার সবই মিথ্যে।’
এদিকে মাহি-শাওনের সমঝোতা পত্রে লেখা হয়েছে, শাওনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন মাহি। অন্যদিকে শাওন জেল থেকে বের হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব ঘটনা খুলে বলবে। আর মাহির বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা মাহির ক্ষতি হয় এমন কোনো আচরণও করতে পারবে না।
রোববার মাহির উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসভবনে উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ৩০০ টাকার দলিলে এই সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। সমঝোতা দলিলে স্বাক্ষর করেন মাহির বাবা আবু বকর ও শাওনের বাবা নজরুল ইসলাম। সাক্ষী ছিলেন শাওনের বড় চাচা আবুল হাশেম ও ছোট চাচা মাহমুদুল হাসান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সিলেট নিবাসী কম্পিউটার প্রকৌশলী পারভেজ মাহমুদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু বিয়ের এক দিন যেতে না যেতেই ২৭ শে মে বন্ধু শাওনের সঙ্গে তার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মাহি। পরে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়। ৩১ মে রিমান্ড শেষে শাওনকে আদালতে আনা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

Be the first to comment on "অবশেষে কেলেংকারি নিয়ে যা বললেন মাহি"