নিউজ ডেস্ক : নারী-পুরুষ অভিবাসী শ্রমিকের মর্যাদাকর কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। যাতে করে অন্যান্য দেশের মতো করে বাংলাদেশের শ্রমিকেরাও মর্যাদাকর নানা কাজ করতে পারে।
এর পাশাপাশি নারী-পুরুষ অভিবাসী শ্রমিকের জন্য বিশ্বের নানা দেশে নিরাপদ অভিবাসন ও মর্যাদাকর কাজের সুযোগ তৈরি হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়।
অভিবাসী শ্রমিকদের এসব সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘অ্যাপ্লিকেশন অব পলিসি ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক ফর মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স’ প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। এ কাজ এগিয়ে নিতে ৫৮ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে বলে মন্ত্রণালয় ষূত্রে জানা গেছে।
প্রকল্পের আওতায় পুরুষ-নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। দেশে বিদ্যমান ট্রেনিং ও ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও যুগপোযোগী করা হবে।
সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো যাতে করে অভিবাসীদের নিরাপদ অভিবাসন ও মর্যাদাকর কাজের সুযোগ তৈরি করে সেই লক্ষ্যে চাপ প্রয়োগ করাসহ নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে সব ধরনের পথ তৈরি করবে প্রকল্পটি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুজায়েত উল্যা বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকদের আরও দক্ষ করার লক্ষ্যে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশে যে সব ভোকেশনাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে সেগুলোর মান আরও বাড়ানো হবে। এ কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলেই নারী-পুরুষ অভিবাসী শ্রমিকের মর্যাদাকর কাজের পরিবেশ তৈরি হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসন একটি অপরিহার্য বাস্তবতা। এদেশের মোট শ্রমশক্তির ১২ ভাগের বেশি প্রবাসে কর্মরত। সাম্প্রতিক অর্থবছরে প্রবাসীদের দেয়া রেমিটেন্স ছিল জিডিপি’র ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের গড় মজুরি অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের তুলনায় সর্বনিম্ন।
অন্যদিকে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে তাদের নানা হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার বন্ধপরিকর। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সরকারকে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় কারিগারি সহায়তা দেবে। প্রথম ধাপে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প থেকে অর্জিত সংস্থার কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, বিবর্ধন ও বাস্তবায়নের ফলে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
নারী-পুরুষ অভিবাসী শ্রমিকের প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক বাংলানিউজকে বলেন, অভিবাসী শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় আমরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি। তারা বিদেশে যাতে করে একটু ভালো থাকতে পারে, একটু ভালো বেতন পায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা যেন একটু বেশি বেতন পায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
Be the first to comment on "অভিবাসী শ্রমিকের মর্যাদাকর কাজের সুযোগ"