নিউজ ডেস্ক : আলিম দার নামটি সামনে আসলেই তার আম্পায়ারিং পেশা ছাড়িয়ে মনে আসে গত বিশ্বকাপের বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের কথা। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ‘ভিলেন’ হিসেবে পরিচিতি পান পাকিস্তানের এই আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ঐতিহাসিক শততম টেস্টে আবারও তার সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
চতুর্থ দিনের শেষ ওভার করছিলেন অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি যখন শেষ বলটি করছেন তখন ব্যাটিং প্রান্তে সুরঙ্গা লাকমল। বলটি লাকমালের ব্যাট-প্যাড হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে একটা ধন্দ তৈরী হয় দর্শকদের মধ্যে। ব্যাটসম্যান লাকমল নিজেকে আউট ভেবে হাঁটা দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেন। আলিম দারও মাথা ঝাঁকিয়ে প্রথমে মাথা নেড়ে সায় দিলেও পরে বদলে দেন সিদ্ধান্ত! লাকমলও দাঁড়িয়ে যান ক্রিজে। নাটকের এই পর্যায়ে রিভিউ চায় বাংলাদেশ।
রিভিউয়ে দীর্ঘসময় ধরে তৃতীয় আম্পায়ার ডেলিভারিটি বিশ্লেষণ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাটসম্যানকেই ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দেওয়া হলো। আলিম দারের এমন রং পাল্টানোয় হতভম্ব হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে এসে মোসাদ্দেক বললেন, “আম্পায়ারকে দেখে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, হয়তো সে আউট হয়েছে। উনি প্রথমে মাথা ঝাঁকিয়েছেন। আমরা ভেবেছি রিভিউ নিলে সুযোগ আছে আউট হওয়ার। ”
এর আগে দিনের ৭৮তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে দিলরুয়ান পেরেরার একটি এলবিডাব্লিউয়ের জোড়ালো আবেদন নাকচ করে দেন আলিম দার। সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি সাকিব। তিনি আবারও আবেদন জানালে আম্পায়ার ঘাড় নাড়েন।
এই ঘটনার পর যথারীতি বিতর্কে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। দুই বছর আগের আলিম দারকে ভোলেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিরা। তারা প্রশ্ন করছেন, বারবার বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে কেন এই বিতর্কিত পাকিস্তানি আম্পায়ারকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়? আর আইসিসির এলিট প্যানেলের এই আম্পায়ার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেনইবা বারবার এমন বিতর্কের সৃষ্টি করেন?
Be the first to comment on "আম্পায়ার আলিম দারকে নিয়ে আবারও উত্তাল সোশ্যাল সাইট!"