নিউজ ডেস্ক : মন্ত্রী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। আবার দলের নেতাকর্মীরা সহজেই তাকে পান বলেও তার পরিচিত কর্মীবান্ধব হিসেবে। তিনি ওবায়দুল কাদের।
এতোদিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবেই ছিলো তার পরিচয়। এখন থেকে তিনি ক্ষমতাসীন দল ও দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দলের সাধারণ সম্পাদক।
এ খবরটি যখন প্রথম মৎস্য ভবন মোড়ে এলো, তখন সেখানে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর অপেক্ষা চলছে।
খবরটি পৌঁছামাত্র স্লোগানে-উচ্ছ্বাসে উত্তাল হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। এরপর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভেতরের দিকে ছুটে যেতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন থেকে তখন বের হতে পারছিলেন না ওবায়দুল কাদের। এতো ভিড় আরে নেতাকর্মীদের অভিনন্দন! শুধু মিডিয়ার দিকে একবার হাত নাড়লেন। এরপরই গাড়ির দিকে ছুটলেন। সামনে-পেছনে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড় সামলে কোনোমতে গাড়িতে উঠলেও সামনে বাড়াতে পারেননি গাড়ির চালক।
নেতাকর্মীবান্ধব এই নেতাকে এক পলক দেখতে গাড়ি ঘিরে অযুত মানুষ। ভিড় পার হতে আরও ১৫ থেকে ২০ মিনিট দেরি করে গাড়ি। এরপর এক ফাঁকে একটু সামনে এগিয়ে কোনো প্রটোকল ছাড়াই ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকে গাড়ি।
গাড়ির পেছন ধরে তখনো দৌঁড়াচ্ছিলেন কিছু কর্মী। বেশ ক্লান্ত ওবায়দুল কাদের আর থামলেন না। তার গাড়ি দ্রুতই মৎস্য ভবন টার্ন করে চলে যায়।
ওবায়দুল কাদেরের প্রটোকলের জন্য সঙ্গে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরাও তাকে আর ধরতে পারেননি। এ সময় প্রটোকলের দু’টি গাড়িকে পেছনে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জেলা-উপজেলা থেকে আসা আওয়ামী লীগেরর নেতাকর্মীরাও এ সময় ‘কাদের ভাই, কাদের ভাই’ স্লোগান দিতে দিতে সামনে এগোতে থাকেন।
সারাদেশে ওবায়দুল কাদের সাম্প্রতিককালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন দক্ষভাবে মন্ত্রণালয় পরিচালনার জন্য। মাঠে-ঘাটে, গাড়িতে, সড়কে-সেতুতে তাকে অনবরত দেখা যাচ্ছে।
আর দলের শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য্য রক্ষায়ও সোচ্চার দেখা গেছে তাকে। নিজের ছবি দিয়ে কোনো পোস্টার পছন্দ করেন না তিনি। কোথাও দেখা গেলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।
Be the first to comment on "উচ্ছ্বাস-অভিনন্দনে ওবায়দুল কাদের"