নিজস্ব প্রতিবেদক : এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে ‘হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়ের ফল বিভ্রাটের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। যারা এগুলো করছেন তাদের অবশ্যই শাস্তি দেব। বেতন বন্ধ করব, তারপরে চূড়ান্ত বিচারে চাকরি থাকবে কি থাকবে না তা ঠিক করা হবে।”
দোষীদের কী শাস্তি হতে পারে তা নিরুপণে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও শিক্ষামন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, “এর জন্য দায়ী হবেন পরীক্ষার খাতার সঙ্গে ফল মেলানোর জন্য যারা শিট দিয়েছেন তারা। অমনযোগী ছিলেন অথবা ভুল করেছেন অথবা তারা দায়সারা কাজ করেছেন।” বরিশাল বোর্ড থেকে এবার এসএসসিতে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১০ হাজার ৪৯২ জন পরীক্ষা দেন। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৮০৯ জন ফল পুনর্বিবেচনা ও যাচাইয়ের আবেদন করেন। গত ১৪ মে সংশোধিত ফলাফলে ১ হাজার ৯৯৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়। তাদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেন এক হাজার ১৪১ জন; ৭৯ জন জিডিএ-৫ পান। ফেল করার খবর শুনে আত্মহত্যা করা সর্বজিৎ ঘোষ নামের এক শিক্ষার্থীও সংশোধিত ফলাফলে পাস করেন। সমালোচনার মধ্যে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। হিন্দু ধর্ম বিষয়ে ফল বিভ্রাটের ঘটনা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় এই কমিটিকে। প্রথম প্রকাশিত ফল ভুল হওয়া প্রসঙ্গে বরিশাল বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক আগেই জানিয়েছিলেন, নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় দুই প্রধান পরীক্ষক ‘খ’ ও ‘গ’ সেট গুলিয়ে ফেলেন।
“তারা ‘খ’ সেট প্রশ্নের মূল্যায়ন করেন ‘গ’ সেটের উত্তরপত্রের মাধ্যমে আর ‘গ’ সেটের মূল্যায়ন করেন ‘খ’ সেটের উত্তরপত্রের মাধ্যমে।” ভুলভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ঘটনায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোনো সমস্যা আছে কি না এবং আগে থেকে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিল কি না তাও যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এর বাইরে আরও কিছু করণীয় আছে কি না, কোনো অপরাধের প্রশ্ন আসে কি না সে বিষয়ে আমরা আদালতের সাহায্য নেব।”
এসএসসির ফল বিভ্রাট: দোষীদের বেতন ‘আটকে যাচ্ছে’

Be the first to comment on "এসএসসির ফল বিভ্রাট: দোষীদের বেতন ‘আটকে যাচ্ছে’"