করফাঁকির মামলায় মেসির ২১ মাস কারাদণ্ড বহাল

নিউজ ডেস্ক : পাঁচ বছর পর অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে লা লিগা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও অনেক আগেই বাদ পড়েছে দল। আর এবার মাঠের বাইরে তীব্র বিপাকে পড়লেন লিওনেল মেসি। কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বার্সা তারকাকে ২১ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার স্প্যানিশ শীর্ষ আদালত জানায়, কারাকণ্ডের পাশাপাশি ২.০৯ মিলিয়ন ইউরো জরিমানাও দিতে হবে এলএম টেনকে। গত বছর জুলাইয়ে কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মেসি এবং তাঁর বাবা জর্জ মেসি। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মেসির ইমেজ রাইট থেকে যা আয় ছিল, তার ৪.১৬ মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

কর এড়াতে ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, উরুগুয়ের মতো দেশে বিভিন্ন কোম্পানি ব্যবহার করেছেন তাঁরা বলে জানা গিয়েছিল। এমনকী, বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপণের জন্য মেসি যা উপার্জন করেন, তাও ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ছিল অভিযোগ। স্প্যানিশ আদালত এই মামলায় আগেই এলএম টেন ও তাঁর বাবাকে ২১ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই শাস্তি মকুবের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান ছেলে ও বাবা। তবে এদিন মেসির ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের রায়ই বলবত রাখল স্পেনের সর্বোচ্চ আদালত। যদিও তাঁর বাবা জর্জ মেসির শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১৫ মাস করে দেওয়া হয়েছে।

তবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে হয়তো জেলে বন্দি থাকতে হবে না। কারণ স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও হিংসাত্মক অপরাধ না করলে এবং দুই বছরের কম সময়ের শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হলে, ওই ব্যক্তিকে সাধারণত শ্রীঘরে থাকতে হয় না। গত বছর ট্রায়ালে মেসি জানিয়েছিলেন, তাঁর কর সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব তিনি বিশ্বাস করে বাবার হাতেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। তবে মেসির বক্তব্যে আদালতের নির্দেশে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "করফাঁকির মামলায় মেসির ২১ মাস কারাদণ্ড বহাল"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*