নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নিজ দল বা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে। রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ দন্ড বিধির ১৮৬০-এর ১২০-খ, ১২১-ক ও ১২৪-ক ধারায় মামলা রুজু করা যাবে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা’র লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশের প্রচলিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহীতার বিচার চলতে পারে। তাই আপাততঃ বিশেষ কোন আইন করার প্রয়োজন নেই। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের কোন সীমান্ত বিরোধী নেই। ভারতের সঙ্গে ছিটমহল, অপদখলীয় ভূমি অচিহ্নিত সীমানা ইত্যাদি বিষয়ে যে বিরোধ ছিল, তা ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি এবং ২০১১ সালের প্রটোকলের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনীর মুহুরী নদী এলাকা ব্যতীত সকল সীমান্ত এলাকার সীমানা পিলার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশের মোট ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্তের ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত ভারতের সঙ্গে এবং ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত মিয়ানমারের সঙ্গে। মিয়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে কোন স্থানে কোন বিরোধ নেই। মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অধিকাংশ কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুন বা তিনগুণ বন্দি অবস্থান করছেন। জেল কোড অনুযায়ী প্রতিজন বন্দির শোবার জায়গা ৩৬ বর্গফুট হিসেবে কারাগারে ধারণক্ষমতা নির্ধারিত হয়। অধিকাংশ কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুন বা তিনগুণ বন্দি অবস্থান করছেন। বন্দি আবাসন সমস্যা দূরীকরণে বর্তমান সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কারাগারগুলো পুনঃনির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বর্তমান সরকার কারাগারের অব্যবস্থাপনা দূর ও সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরেন।
Be the first to comment on "কূটনৈতিক বিচ্ছিন্ন দেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী"