নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদী ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষন ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার বন্যায় তিস্তা অববাহিকার নীলফামারী,লালমনিরহাট ও রংপুরের চর ও চরগ্রাম গুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে তিস্তা ফুঁসে উঠায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে ঘরবাড়ি জমিজিরাত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সুত্র মতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষজনের ঘরবাড়িতে বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া খবর পাওয়া গেছে।
নীলফামারী ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্র মতে ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে শোঁ শোঁ শব্দে তিস্তা এখন উথাল পাতালে রাক্ষুসী হয়ে উঠেছে। শনিবার সকাল ৬টা নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৫৫ মিটার)) উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। যা তিনঘন্টা পর সকাল ৯টায় আরো ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকার ডালিয়া পয়েন্টে বৃস্টিপাত রেকড করা হয় ১২৭ মিলিমিটার।
উল্লেখ যে গত বুধবার ২২ জুন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা বিদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এরপর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৩৬ সেন্টিমিটার পানি কমে তিস্তা বিপদসীমার নিচে চলে এসেছিল। ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে তিস্তা পুনরায় বিপদসীমা অতিক্রম করলো।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল কপাট খুলে রাখা হয়েছে।
Be the first to comment on "তিস্তা ফের বিপদসীমায়"