নিউজ ডেস্ক : বাউফলে এক সংখ্যালঘু মা ও মেয়েকে গণ ধর্ষন করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া নদীর ভরিপাশা পয়েন্টে চর ঈশানের কাছে একটি ট্রলারে মধ্যে তাদের আটকে রেখে ধর্ষন করা হয়। পুলিশ শনিবার দিবাগত রাত দেরটায় তাদের উদ্ধার করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নুর আলম (৩৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানাগেছে, বাউফলের কাছিপাড়া ইউপির উত্তর কাছিপাড়া গ্রামের এক সংখ্যালঘু মা (৩৮) তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে (১৭) নিয়ে ঘটনার দিন সকাল সারে ১০টায় দিকে বাড়ি থেকে একটি ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেলযোগে কালাইয়া শৌলা নুরজাহান গার্ডেনে যান। সেখানে তারা বিকাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। এরপর মামা ও মেয়ে অপর একটি ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সংখ্যালঘু ওই মা জানান, ভাড়ায় চালিত ওই মটরসাইকেলের ড্রাইভার তাদেরকে বাড়ির পথে না নিয়ে পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর ইউপির নিমদি এলাকায় নদীর পারে নিয়ে যায়। তখন সন্ধ্যার সময়। কাছে একটি ট্রলার থেকে ৬ জন লোক এসে তাদেরকে জোর করে ওই ট্রলারে উঠিয়ে নদীর মধ্যে চলে যায়। খানিক দূরে যাওয়ার পরে ৩ ব্যাক্তি তাকে ট্রলারে পাটাতনে ও বাকি ৩ ব্যাক্তি তার মেয়েকে ট্রলারের ছইয়ের উপরে উঠিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ভাবে দফায় দফায় তাদেরকে ধর্ষন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এক জেলে জানান, কেশবপুর ইউনিয়নের ভড়িপাশা তেঁতুলিয়া নদীর চর ঈশানের কাছে রাত সারে ১০টার দিকে তিনিসহ কয়েক জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরছিলেন। তখন অদূর থেকে একটি মেয়ের চিৎকারের শদ্ধ শুনতে পান। এসময় তারাও ডাকচিৎকার দিলে আশপাশ থেকে আর ২০-২৫ জন জেলে নৌকা নিয়ে এগিয়ে এলে ওই ট্রলার থেকে কয়েক ব্যাক্তি নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা ওই ট্রলারে উঠে বিবস্ত্র অবস্থায় মা ও মেয়েকে দেখতে পান। এসময় তারা নুর আলম নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেন। এ অবস্থায় ওই ট্রলারটি তারা ভড়িপাশা খেয়াঘাটে আসেন। ততখনে স্থানীয় অনেক লোকজন জড়ো হয়। বাউফল থানার ওসি আযম ফারুকী জানান, তিনি ওই দিন রাত সারে ১১টার দিকে কেশবপুর ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাবুর মাধ্যমে খবর পেয়ে সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ভড়িপাশা গিয়ে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেন এবং আটকৃত নুর আলমকে নিয়ে থানায় চলে আসেন। রাত দু টার দিকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়েকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন। আটককৃত নুর আলম জানান, তার বাড়ি নাজিরপুর ইউনিয়নের রামনগর তাতেরকাঠি গ্রামে বাবার নাম রশিদ মল্লিক। ঘটনার দিন একই ইউপির সহিস্যা গ্রামের রহিম মীর তাকে মোবাইল ফোনে একটি ট্রলারের মেশিন সারানোর নাম করে নিমদি নদীর পারে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ছাড়াও সহিস্যা গ্রামের কাদের মৃধার ছেলে হারুন মৃধা (৪৫), রায় তাতেরকাঠি গ্রামের আমির হাওলাদারের ছেলে সোহেল ও একই গ্রামের রশিদ মল্লিকের ছেলে নুর আলম (২৮)সহ ৬জন লোক ছিল। হারুন মৃধা ওই মহিলা ও তার মেয়েকে খবর দিয়ে মটর সাইকেলযোগে নিমদি নদীর পারে নিয়ে আসে। এরপর তাদের ট্রলারে তুলে মাঝ নদীতে নিয়ে সবাই মিলে কয়েক দফা পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিত মা ও মেয়েকে মেডিকেল টেস্টের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সূত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ
তেঁতুলিয়া নদীর উপর সংখ্যালঘু মা মেয়েকে গণধর্ষণ

Be the first to comment on "তেঁতুলিয়া নদীর উপর সংখ্যালঘু মা মেয়েকে গণধর্ষণ"