নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার রাতে বিদেশী নাগরিকসহ জিম্মি করে অসংখ্য মানুষকে হতাহতের ঘটনা এদেশের ইতিহাসে এক জঘন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, বছরব্যাপী জঙ্গীবাদী দুস্কৃতিকারীরা দেশজুড়ে কম্পোজিট সন্ত্রাসের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। জঙ্গীবাদের এই পৈশাচিক আগ্রাসনে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও নানা সম্প্রদায়ের মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার শাসনযন্ত্রের দমন ক্ষমতা বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে। ফলে জঙ্গীবাদ আরো উৎসাহিত হয়ে তাদের হিংস্র আচরণ তীব্রতর করেছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্র্মী মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে এবং ক্রসফায়ারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছে। সরকারের দৃষ্টি যেহেতু বিরোধী দলের দিকে সেহেতু উগ্রবাদীরা নির্বিঘেœ তাদের সহিংস কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। আমি সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই মধ্যযুগীয় বর্বরতার প্রতীক এই উগ্রবাদী জঙ্গীদের সন্ত্রাসের সংগঠন ও পরিকাঠামো নিশ্চিহ্ন করতে হলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরী। আর এই জরুরী কাজটি সরকারকেই করতে হবে।
ফখরুল বলেন, সরকার এখন যদি মানবতাবিরোধী উগ্রবাদীদের নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের খেলায় মেতে থাকেন, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, জঙ্গী দমনের নামে সপ্তাহব্যাপী সরকারের পুলিশী অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক এবং বিএনপিকে জঙ্গীবাদের সাথে জড়ানোর কারসাজি। কিন্তু শুক্রবার ঝিনাইদহে হিন্দু সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে কুপিয়ে হত্যা এবং গুলশানে একটি রেষ্টুরেন্টে নজীরবিহীন মানুষ জিম্মি করে হতাহতের ঘটনায় সারাজাতি হতভম্ব ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তিনি গুলশানের রক্তাক্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি রক্তাক্ত ঘটনায় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহানুভুতি জানান। তিনি গুলশানের এলাকাবাসী এবং অত্র এলাকার বাসিন্দা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
Be the first to comment on "দেশের ইতিহাসে জঘন্যতম কালো অধ্যায়: ফখরুল"