নিজস্ব প্রতিবেদক : নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে পরে তার আইনজীবীর আবেদনে পুনর্বহাল করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটির অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ১০ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেছেন। ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালতে আজ সোমবার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে আদালতে অনুপস্থিত থেকে তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান খালেদা।
এ সময় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে দেন আদালত। পরে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানালে জামিন পুনর্বহাল করা হয়। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। এর আগেও গত ১২ এপ্রিল ও ৭ জুন সময়ের আবেদন জানিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে নেন খালেদাসহ অন্য আসামিরা।
কারাগারে আটক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
Be the first to comment on "নাইকো দুর্নীতি মামলা: শুনানি ফের পিছিয়ে"