নিউজ ডেস্ক : ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েসের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক, সাবেক ও বর্তমান রাষ্টদূতরা ছাড়াও তার সহকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার আগে মিজারুল কায়েসের বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) ইমরুল কায়েস জানান, মিজারুলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এ সময় শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিজারুলের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা চতুর্থ জানাজায় অংশ নেবেন। এরপর তার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। তিনি জানান, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
কায়েসের প্রথম জানাজা ১৫ মার্চ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সম্পন্ন হয়। ব্রাজিলে নিযুক্ত মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ওই জানাজার আয়োজন করেন। এর আগে তাকে সামরিক মর্যাদায় সম্মান জানায় ব্রাজিল সরকার।
রবিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিজারুল কায়েসের মরদেহ গ্রহণ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মরহুমের সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানরাও দেশে ফিরেছেন।
মিজারুল কায়েসের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় বনানী জি ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ২৮ নম্বর বাড়িতে।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মরহুম আবদুল হামিদের ছেলে মিজারুল কায়েস ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ-বিদেশে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে সুনাম অর্জন করেন।
Be the first to comment on "পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিজারুল কায়েসের জানাজা সম্পন্ন"