নিউজ ডেস্ক : দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে এবার লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) এসব নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ে উপ সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়-২) লায়লা আঞ্জুমান্দ বানু স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনাটি গত ১৩ এপ্রিলের হলেও সংশোধিত আকারে বুধবার তা প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউজিসি সচিবকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইদানিং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অনভিপ্রেত অবস্থার সমাধানকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে পাওয়া গোয়েন্দা বিভাগের গোপনীয় প্রতিবেদনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার লক্ষে দুটি সুপারিশ করা হয়েছে।
ক) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের পূর্বে কোনও পুলিশ ভেরিফিকেশন বা গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক ব্যক্তিগত তথ্যাদি যাচাই হয় না। ফলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তি বা অপরাধীরা নিয়োগের সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের আগে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিয়োগ করা যাবে।
খ) শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে শুধু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়, এতে অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রার্থীর মেধা যাচাই করা সহজ হবে এবং অনিয়মের সুযোগ হ্রাস পাবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এসব নির্দেশনা অনুসরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে ইউজিসিকে অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. হেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসিকে নির্দেশনা দিয়েছি। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে এ বিষয়ে জানাবে। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ঠেকাতে আমাদের ওপর আদেশ আছে। সে মোতাবেকই এ কাজটি করা হচ্ছে।
Be the first to comment on "পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে দিতে হবে পরীক্ষা, লাগবে পুলিশ ভেরিফিকেশন"