নিউজ ডেস্ক : প্রথম ইনিংস থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া নিউজিল্যান্ড ধারাবাহিকতা বজায় রাখল দ্বিতীয় ইনিংসেও। সেইসঙ্গে বোলিংটাও সুবিধার হলো না। স্পিন বিষে কিউইদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেশব মহারাজ। তার সৌজন্যে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল প্রোটিয়ারা। সেটাও আবার তিন দিনেই! জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৮০ রান! হাশিম আমলা-জেপি ডুমিনিদের জন্য এটা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। তবু দুই উইকেট হারানোর আক্ষেপ তো থাকলই। এর আগে প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিল।
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সেঞ্চুরি করেন হেনরি নিকোলাস। ২৪২ বলে তার ১১৮ রানের ইনিংসটাই কিউইদের এই পর্যায়ে নিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছিল প্রোটিয়ারা। তবে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় ডু’প্লেসিসের দল। বাভুমার ৮৯ আর ডি’ককের ৯১ রানে ভর করে ৩৫৯ রান তোলে সফরকারীরা। এছাড়া ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মরনি মরকেল ৪০ রান করেন। টেস্ট অভিষেকটা ভালো হয়নি নেইল ব্রুমের। প্রথম ইনিংসে ০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ রান করে আউট হন তিনি। কিউইদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন গ্র্যান্ডহোম এবং নেইল ওয়াগনার। ২ উইকেট নেন টিম সাউদি।
দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিতভাবেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। প্রোটিয়াদের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞের নেতৃত্ব দেন কেশব মহারাজ। তিনি এদিন ৬ উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ২টি। জিত রাভাল সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন। ৮জন ব্যাটসম্যান ২ অংকেই পৌঁছতে পারেননি! মহারাজের স্পিন বিষে ঘায়েল হয়ে ১৭১ রানেই শেষ হয় কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস। লিড মাত্র ৮০ রানের। সেটা তুলতে অবশ্য দুই ওপেনারকে হারাতে হয় প্রোটিয়াদের। নিশামের করা ২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জেপি ডুমিনি।
সিরিজের তৃতীয় তথা সর্বশেষ টেস্ট হ্যামিল্টনে আগামী ২৫ মার্চ থেকে শুরু হবে।
Be the first to comment on "মহারাজের ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল জয়"