নিউজ ডেস্ক : ক্রিকেটর রাজকীয় সিরিজ অ্যাশেজ চলছে, ২০০৯ সালে। সকাল থেকেই বেদম প্রহার শুরু করেছেন কেভিন পিটারসেন। আর নাকানি চুবানি খাচ্ছে অসি বোলাররা। হঠাতই কী যেন হলো; পিটারসেনের উদ্দেশ্যে ফুটবলের মত করে ক্রিকেট বলটিতে লাথি দিলেন অসি বোলার মিচেল জনসন। কিছু বাক্য বিনিময়ও হলো। কিন্তু কী এমন হয়েছিল সেদিন?
জনসন বললেন, “পিটারসেন সেদিন আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিল। তার প্রতিটি কথায় আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি তাকে নোংরা কিছু বলিনি।”
পিটারসেন সেদিন দারুণ খেলছিলেন। আর বল হাতে আগুন ঝড়াচ্ছিলেন জনসন। উত্তেজনায় পরিপূর্ণ অ্যাশেজে যোগ হয়েছিল বাড়তি উত্তেজনা। জনসন তখন ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু টানাপোড়েনে ভুগছিলেন। এই পারিবারিক বিষয়টিকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন পিটারসেন। সেদিনের এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই টিভি ক্যামেরায় কল্যাণে দর্শকরা দেখছিল। ‘জেন্টলম্যান গেম’-এর তকমা ভুলে গিয়ে ক্রিকেট মাঠে পিটারসেনের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন জনসন। হঠাৎ দুজনের মাঝে এসে দাঁড়ালেন স্টুয়ার্ট ক্লার্ক। তারপর তখনকার মত ঝামেলা মিটে যায় দুজনের।
জনসন আরও বলেছেন, “ওর (পিটারসেনের) ব্যবহারে আমি খুব হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবে দ্রুতই মনযোগ খেলায় ফিরিয়ে আনি। স্লোজিংয়ের নামে আপনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন না। প্রত্যেকের কথার লিমিট থাকা উচিৎ। আপনি নিশ্চয় খেলার মধ্যে পরিবারকে টেনে আনবেন না। পরিবার সবার দুর্বল জায়গা।”
সেবারের সিরিজে পিটারসেন মাত্র প্রথম দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। অসিদের হতাশায় ডুবিয়ে ২-১ ব্যবধানে অ্যাশেজ জিতে নিয়েছিল ইংলিশরা।
Be the first to comment on "যে কারণে পিটারসেনকে মারতে চেয়েছিলেন জনসন!"