নিউজ ডেস্ক : গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে একজন কৃষককে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার শামুকখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শরীফ মিজানুর (৫০) ওই গ্রামের মৃত শরীফ ওয়াদুদের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য আলিম কাজী সমর্থিত লোকজনদের সাথে আসকার খন্দকার সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›ন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল। মঙ্গলবার (১৭মে) দুপুরে আসকার খন্দকারের নেতৃত্বে হোসেন খন্দকার, জাহিদ খন্দকার, মনির খন্দকার ও শহিদ খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক লোক প্রতিপক্ষ ওবায়দুর কাজীর ও কালাম কাজীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে জোর পূর্বক গরু ধরে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা,রামদা, ঢাল-সড়কি নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এক পর্যায় আসকার খন্দকারের লোকজন ঘটনা স্থলে সড়কি দিয়ে কৃষক শরীফ মিজানুরকে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে । এ সময় ইমদাদুল কাজী, মফিজুল কাজী, সৈয়দ আশরাফ আলী ও সোহাগ কাজীসহ সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে বিকালে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যা"