নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি (পূর্বপাড়া) গ্রামের টিকার ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এক নববধূকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোকলজ্জা ও প্রভাবশালীদের ভয়ে ভীত পরিবার। মুখ খুললে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি।
সরেজমিনে গিয়ে নববধূ ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি (পূর্বপাড়া) গ্রামের স্ত্রী মহিলা বেগম-২০ (ছদ্মনাম) কে কয়েক মাস আগে পাশর্^বর্তি গ্রাম থেকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কুমড়ি গ্রামে এসেছেন।
গভীর রাতে নববধূর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে একই গ্রামের আবুল শেখ’র ছেলে লম্পট মোয়াজ্জেম হোসেন (৩২) ও তার অপর দুই সহযোগী। বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) রাত ৩টার দিকে মহিলা বেগমের স্বামী ঘরের দরজা খুলে রেখে বাড়ির পাশে জমিতে পানি দিতে যান। এ সুযোগে লম্পট মোয়াজ্জেম, ঘুমন্ত নববধূর ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নববধূর চোখ বেঁধে ধর্ষনের চেষ্টার প্রাককালে তার স্বামী ঘরে ফিরে এলে ধর্ষক ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষক যাওয়ার আগে বলে যান, তিনি একই গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে ‘পলাশ সরদার’ মুখ খুললে প্রানে মেরে ফেলা হবে বলে শাষিয়ে যান। মহিলা বেগমের চোখ কালো কাপড়ে বাধাঁ থাকায় কাউকে চিনতে না পারলেও তার স্বামী লম্পট মোয়াজ্জেমকে ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।
মহিলা বেগম’র স্বামী জানান, রাত ৩টার দিকে তিনি বাড়ির পাশে জমিতে পানি দিতে যান। কিছু সময় অতিবাহিত হলে একই গ্রামের আবুল শেখ’র ছেলে মোয়াজ্জেম শেখ,মৃত ফায়েক শেখ’র ছেলে আহাদ শেখ এবং মুনসুর শেখ’র ছেলে মিরাজ শেখ, একত্রে তার স্যালো মেশিন ঘরের পাশে কিছু সময় অপেক্ষা করে চলে যায়। পরে তিনি স্যালোটি চালু করে বাড়িতে ফেরার পথে মিরাজ ও আহাদ তাদের পুকুর পাড়ে এবং লম্পট মোয়াজ্জেমকে তার ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। পরে তিনি ঘরে প্রবেশ করে প্রায় অচেতন অবস্থায় চোখ বাঁধা তার স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় মাতুব্বররা শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলেও জানান। মহিলা বেগম ও তার স্বামী ঘটনার যথার্থ বিচার চেয়েছেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় নববধুকে ধর্ষনের চেষ্টা"