নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়ার পাচুড়িয়া গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধষর্ণের শিকার হয়েছে। এ সময় ধর্ষকের সহযোগিরা ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (২০এপ্রিল) দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুলিশ ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারে নাই।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামের নজরুল শেখ’র মেয়ে সোনাদাহ পাঁচুড়িয়া ফারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪) কে পার্শ^বর্তী মল্লিকপুর গ্রামের নুরুজ্জামান মল্লিকের লম্পট ছেলে মুজাহিদ মল্লিক (১৭) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মুজাহিদের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে একা বাড়ি ফেরার পথে ওই লম্পটসহ তার সহযোগী জিসান, সজিব, চঞ্চল ও রোমান তার পথ রোধ করে জোর করে ধরে চাঁন শরিফের বাগানে নিয়ে যায় এবং মুজাহিদ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মোজাহিদের সহযোগী চার বন্ধু ধর্ষণের দৃশ্য ও ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করলে ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মুজাহিদ ছাত্রী কে হুমকি দেয়। ধর্ষণের ঘটনাটি ওই ছাত্রী তার অভিভাবক কে জানালে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মল্লিকপুর ইউপি সদস্য আব্দুল হাই খানের এর নেতৃত্বে লোহাগড়ার ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্টের ভূইফোঁড় কথিত দু’জন সাংবাদিকের সহযোগিতায় একটি মহল ১৮ এপ্রিল গভীর রাতে শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। শালিস বৈঠকের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে শালিস বৈঠক পন্ড করে দেয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা নজরুর শেখ বাদী হয়ে বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ৫জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৭,তাং ১৯-৪-১৭। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুলিশ ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারে নাই। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং জড়িতদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারন ॥ থানায় মামলা দায়ের"