লোহাগড়ায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থী ॥ টিসি নিয়ে স্কুল ত্যাগ

নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ৬৬ নং পাঁচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসান আরিফ লিমন তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুদ্র মোল্যা (৮) গণিত ক্লাসের পড়া না পারায় তাকে বেত দিয়ে বেদম প্রহার করে আহত করে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিকালেই লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমানকে অবহিত করেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাগর চৌধুরী সরেজমিনে ওই স্কুল পরিদর্শন করেছেন। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে বলেও জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন,তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে যথাযথ ব্যব্স্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাসান আরিফ লিমনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপর ঘটনায় অভিভাবক সুত্রে জানা গেছে উপজেলার রামকান্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন তামিমকে ক্লাসে পড়া না পারার কারনে ২৮মার্চ ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমন কুমার বিশ^াস বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। পরে অভিভাবক শিক্ষার্থীর টিসি নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করেছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসাকে অবহিত করা হলেও অদৃশ্য কারনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেননি। একাধিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ক্ষোভের সাথে বলেন, ইতিপূর্বে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় মারপিটের ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিরবতায় অভিভাবক ও এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন।