নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া খানম (১১) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চর আড়িয়ার গ্রামের জিনকার মোল্যার মেয়ে, চর আড়িয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া খানম (১১) বিদ্যালয়ের রোল নং ১২। সে মায়ের সাথে সংসারিক কাজে সহযোগীতা করার কারনে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। একই গ্রাম ও বিদ্যালয়ের সংলগ্ন খাইরুল ইসলামের স্ত্রী রেকসনা বেগমসহ একাধিক অভিভাবক জানান, কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে রাবেয়ার উপস্থিতিতে তার মা হোসনেয়ারা বেগমকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম সেলিমুজ্জামান অপমান জনক বিভিন্ন কথা-বার্তা বলেন। মায়ের অপমান সইতে না পেরে ২৭মার্চ বিকাল ৫টার দিকে ঘরের মধ্যে ছাগলের রশি গলায় পেচিয়ে আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার এস আই সবুর সংর্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈয়ার করেন। চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজনের অনুরোধ ও অভিভাবকের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই সোমবার (২৭মার্চ) রাতেই বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮মার্চ) দুপুর ২টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কেএম সেলিমুজ্জামান কর্তৃপক্ষের বিনা-অনুমতিতে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়েছেন। বিদ্যালয় বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের যাওয়ার ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমানের নিকট জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় বন্ধ করে যাওয়ায় আইনগত ব্যাবস্থা নিবেন কিনা? তিনি বলেন, অবশ্যই আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় শিক্ষক কর্তৃক মায়ের অপমান ॥ ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা"