নিউজ ডেস্ক ॥ অনগ্রসর বঞ্চিত ও অবহেলিত নড়াইলের লোহাগড়ায় শিল্পাঞ্চল হলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। বহুমাত্রিক উপার্জনের দুয়ার খুলবে, বদলে যাবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থা। ঘটবে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন।
লোহাগড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আ’লীগ নেতারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মশিয়ুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক লেঃ কমাঃ এএম আব্দুল্লাহ, শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না, পৌর আ’লীগের সভাপতি কাজী বনি আমীন, কোটাকোল ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক বিএম আসলাম হোসেন টুটুল, দিঘলিয়ার আবু সাঈদ, ইতনার আহাদুজ্জামান আহাদ, উপজেলা যুবলীগ নেতা শেখ ছদর উদ্দিন শামীম, ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্সী জোসেফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক এমএম রাশেদ হাসান প্রমুখ। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কের ওপর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষজন অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-লোহাগড়া-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মর্ত্তুজা লোহাগড়ায় শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী গত ১৯ মে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)কে। ্এরপর বেজার যুগ্ম সচিব মলয় চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল সরেজমিনে পরিদর্শন করে কালনার মধুমতি নদীর তীরে স্থান নির্বাচন করেন। শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩০০ একর জমির প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে খাস জমির অগ্রাধিকার রয়েছে।
বেজা সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল যে জমিতে হবে, তাদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনদের কর্মসংস্থানের সুযোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। স্থানীয় আর্থ সামাজিক ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে, ৮৮টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। ৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল উৎপাদন শুরু করেছে। সেখানে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ ও দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ হবে রপ্তানী হবে এখানকার শিল্পপণ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম সচিব মলয় চৌধুরী বলেন, কালনা এলাকার পাশ দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ের ছয় লেনের সড়ক হবে। এরপাশ দিয়ে যাচ্ছে রেল লাইন। এর লাগোয়া মধুমতি নদী। পদ্মা সেতুর ওপারে হবে বিমানবন্দর। মোংলা ও পায়রা নৌ-বন্দরও কাছাকাছি। বেনাপোল স্থল বন্দরও কাছে। ঢাকার দুরত্ব কাছাকাছি। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার নানা সুবিধা রয়েছে। তিনি গত ২ জানুয়ারি কালনা এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে প্রতিবেদন বেজায় দাখিল করেছেন।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, কালনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে বেজা কর্তৃপক্ষ দ্রুত অনুমোদন দেবে বলে আশা রাখছি। অনুমোদন দিলে এখানকার জমি অধিগ্রহণ করা হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে শিল্পায়নের ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। খুলে যাবে বহুমাত্রিক উপার্জনের পথ। বদলে যাবে লোহাগড়ার আর্থ সামাজিক অবস্থান। ঘটবে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবিতে আ’লীগের সংবাদ সম্মেলন"